কিডনী রোগের
প্রকৃত কারণ
এবং
চিকিৎসা
নষ্ট কিডনী ভালো হয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়
http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2008/10/kidney-damage-and-its-real-cause_19.html
https://bashirmahmudellias.wordpress.com/
সমপ্রতি বাংলাদেশে কিডনী নষ্ট হওয়াসহ অন্যান্য মারাত্মক কিডনী রোগ
বৃদ্ধির যে পিলে চমকানো খবর বেরিয়েছে, তাতে যে-কোন সচেতন ব্যক্তিমাত্র মর্মাহত
হবেন। পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে
ষোল কোটি
মানুষের মধ্যে
প্রায় দুই
কোটি লোক
কিডনী রোগে
আক্রান্ত। এদের
মধ্যে দীঘর্স্থায়ী জটিল কিডনী রোগে আক্রান্তের
সংখ্যা প্রায়
এক কোটি
আশি লক্ষ। এই
রোগে প্রতি
ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করছে ৫
জন। যেহেতু
কিডনী ডায়ালাইসিস
(haemodialysis) এবং
নতুন কিডনী
লাগানোর (kidney
transplantation) মতো
চিকিৎসায় লক্ষ
লক্ষ খরচ
করতে হয়,
সেহেতু বেশীর
ভাগ রোগীই
বলতে গেলে
বিনা চিকিৎসায়
মৃত্যুবরণ করে।
তাছাড়া দীঘর্স্থায়ী কিডনীদের
বেশীর ভাগই
হার্টএটাকে মারা
যায়। কারণ
কিডনী রোগ,
হাটর্এটাক এবং
ডায়াবেটিস একেবারে ওতপ্রোতভাবে
জড়িত।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসব প্রাণনাশী কিডনী রোগের সংখ্যা কল্পনাতীত হারে বৃদ্ধির মুল কারণ হলো
ভেজাল খাবার (Contaminated
food), ডায়াবেটিস(Diabetes mellitus) এবং উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)।এই তিনটি কারণকে এলোপ্যাথিক কিডনী বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত কারণ বললেও আসলে
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে
বরং বেশী বেশী এলোপ্যাথিক
ঔষধ খাওয়াকেই কিডনী নষ্ট হওয়ার মূল
কারণ বলতে হবে।
কেননা আমরা অনেকেই জানি
না যে, আমরা যতো ঔষধ খাই তার অধিকাংশই রক্তে প্রবেশ করে তাদের কাজ-কর্ম পরিচালনা
করে থাকে। পরবর্তীতে তাদেরকে রক্ত থেকে সংগ্রহ করে ছেকে ছেকে শরীর থেকে বের করার
দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় এই কিডনী দুটিকে। ফলে আমরা যতো বেশী ঔষধ খাই, আমাদের কিডনীকে তত বেশী পরিশ্রম করতে হয় এবং ফলস্রুতিতে কিডনী দুটি তত
বেশী দুর্বল-ক্লান্ত-শ্রান্ত-অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া বেশী বেশী ঔষধ খেলে তাদেরকে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য প্রচুর
পরিমাণে পানি খেতে হয়।
কিন্তু আমাদের অনেকেই বেশী বেশী পানি খাওয়ার বিষয়টি মেনে চলি
না।কিডনী ড্যামেজ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যে রোগকে বিবেচনা করা হয় তার নাম
নেফ্রাইটিস (Nephritis/ Bright's
disease) এবং নেফ্রাইটিস হওয়ার মুল কারণও এই ঔষধ। কিডনী যদিও নিয়মিত আমাদের খাওয়া সকল ঔষধসমুহ নিষ্কাশন করে কিন্তু তার
মাঝেও ঔষধের দুয়েকটা কণা কিডনীর অজান্তেই কিডনীর গায়ে লেগে
থাকে।পরবর্তীতে সেই কণাটির ওপর নানারকমের জীবাণু, ক্যামিকেল, মৃতকোষ ইত্যাদি জমতে জমতে সেটির গঠন বদলে
যায়। ফলে কিডনী আর সেই কণাটিকে চিনতে পারে না।এক সময় কণাটি নিজে কিডনীর একটি অংশ হওয়ার চেষ্টা
করে। কিন্তু কিডনী সেই কণাটিকে গ্রহন করতে রাজী হয় না। শেষ পরযন্ত কিডনীর ভিতরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাকে ডাক্তারী ভাষায় বলে
অটোইমিউন রিয়েকশান(Auto
immune
reaction)।
এভাবে কিডনীর
এক অংশ
অন্য অংশকে
চিনতে না
পেরে শত্রু
হিসেবে গণ্য
করে এবং
তাকে ধ্বংস
করার জন্য
উঠেপড়ে লেগে
যায়।
ফলে কিডনী
নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে এবং আমরা
কবরের বাসিন্দা হয়ে যাই।সাথে সাথে আমাদের
সনতান-সনততিদের করে যাই পথের ভিখারী।
কেননা এলোপ্যাথিক চিকিৎসায়
কিডনী রোগের
যে চিকিৎসা
খরচ,
তাতে যে-কোন
কিডনী রোগীর
পরিবারকে পথে
নামতে ছয়
মাসের বেশী
লাগে
না।
কাজেই বলা যায় যে, উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস আমাদের কিডনীর যতটা ক্ষতি না
করে, তারচেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে এসব রোগ চিকিৎসার নামে যুগের পর যুগ খাওয়া
মারাত্মক ক্ষতিকর এলোপ্যাথিক কেমিক্যাল ঔষধগুলি।
বিশেষ করে যে-সব
এলোপ্যাথিক ঔষধ মানুষ বেশী
বেশী খায়
(যেমন-এন্টিবায়োটিক, ব্যথার ঔষধ, বাতের
ঔষধ, ঘুমের ঔষধ, ব্লাড প্রেসারের ঔষধ, মানসিক রোগের ঔষধ ইত্যাদি), এগুলো কিডনীর এতই ক্ষতি করে যে, এদেরকে কিডনীর যম বলাই উচিত। একটি বাস-ব সত্য কথা হলো, প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কখনও সারে
না ; বলা হয় এগুলো “নিয়ন্ত্রণে থাকে”।আসল কথা হলো, কোন ঔষধ যখন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ খাওয়া হয়, তখন সেই ঔষধ আর রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বরং রোগই সেই ঔষধকে
নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে।ফলে এসব কুচিকিৎসায় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ তো সারেই না বরং দিন দিন
আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মাঝখানে মারাত্মক মারাত্মক ঔষধের ধাক্কায় কিডনীর বারোটা বেজে
যায়। অথচ একজন বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিলে
ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপ এবং নেফ্রাইটিস দুয়েক বছরের মধ্যেই কেবল নিয়নত্রণ
(control) নয় বরং একেবারে নির্মুল (cure) হয়ে যায়। এমনকি যদি এসব রোগ নিরাময়ের জন্য যুগের পর যুগও হোমিও ঔষধ খেতে
হয়, তথাপি হোমিও চিকিৎসা করা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক
হবে। কেননা হোমিও ঔষধে যেহেতু ঔষধের পরিমাণ থাকে খুবই
কম, সেহেতু এগুলো কয়েক যুগ খেলেও কিডনীতে জমে কিডনী নষ্ট হওয়ার সম্ভাবণা
নাই। হ্যাঁ, অন্যান্য রোগের মতো কিডনী রোগের চিকিৎসাতেও হোমিও ঔষধ শ্রেষ্টত্বের
দাবীদার। কারণ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের কষ্টগুলো নিয়ন্ত্রণ
করা গেলেও কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ (Link)দূর করা যায় না। একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমেই কেবল কিডনী রোগের পেছনের মূল
কারণসমূহ দূর করা সম্ভব হয় এবং এভাবে একই রোগ কয়েক বছর পরপর ঘুরে ফিরে বার বার ফিরে
আসা ঠেকানো যায়।
প্রকৃত কারণ
এবং
চিকিৎসা
নষ্ট কিডনী ভালো হয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়
http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2008/10/kidney-damage-and-its-real-cause_19.html
https://bashirmahmudellias.wordpress.com/
সমপ্রতি বাংলাদেশে কিডনী নষ্ট হওয়াসহ অন্যান্য মারাত্মক কিডনী রোগ
বৃদ্ধির যে পিলে চমকানো খবর বেরিয়েছে, তাতে যে-কোন সচেতন ব্যক্তিমাত্র মর্মাহত
হবেন। পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে
ষোল কোটি
মানুষের মধ্যে
প্রায় দুই
কোটি লোক
কিডনী রোগে
আক্রান্ত। এদের
মধ্যে দীঘর্স্থায়ী জটিল কিডনী রোগে আক্রান্তের
সংখ্যা প্রায়
এক কোটি
আশি লক্ষ। এই
রোগে প্রতি
ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করছে ৫
জন। যেহেতু
কিডনী ডায়ালাইসিস
(haemodialysis) এবং
নতুন কিডনী
লাগানোর (kidney
transplantation) মতো
চিকিৎসায় লক্ষ
লক্ষ খরচ
করতে হয়,
সেহেতু বেশীর
ভাগ রোগীই
বলতে গেলে
বিনা চিকিৎসায়
মৃত্যুবরণ করে।
তাছাড়া দীঘর্স্থায়ী কিডনীদের
বেশীর ভাগই
হার্টএটাকে মারা
যায়। কারণ
কিডনী রোগ,
হাটর্এটাক এবং
ডায়াবেটিস একেবারে ওতপ্রোতভাবে
জড়িত।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসব প্রাণনাশী কিডনী রোগের সংখ্যা কল্পনাতীত হারে বৃদ্ধির মুল কারণ হলো
ভেজাল খাবার (Contaminated
food), ডায়াবেটিস(Diabetes mellitus) এবং উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)।এই তিনটি কারণকে এলোপ্যাথিক কিডনী বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত কারণ বললেও আসলে
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে
বরং বেশী বেশী এলোপ্যাথিক
ঔষধ খাওয়াকেই কিডনী নষ্ট হওয়ার মূল
কারণ বলতে হবে।
কেননা আমরা অনেকেই জানি
না যে, আমরা যতো ঔষধ খাই তার অধিকাংশই রক্তে প্রবেশ করে তাদের কাজ-কর্ম পরিচালনা
করে থাকে। পরবর্তীতে তাদেরকে রক্ত থেকে সংগ্রহ করে ছেকে ছেকে শরীর থেকে বের করার
দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় এই কিডনী দুটিকে। ফলে আমরা যতো বেশী ঔষধ খাই, আমাদের কিডনীকে তত বেশী পরিশ্রম করতে হয় এবং ফলস্রুতিতে কিডনী দুটি তত
বেশী দুর্বল-ক্লান্ত-শ্রান্ত-অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া বেশী বেশী ঔষধ খেলে তাদেরকে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য প্রচুর
পরিমাণে পানি খেতে হয়।
কিন্তু আমাদের অনেকেই বেশী বেশী পানি খাওয়ার বিষয়টি মেনে চলি
না।কিডনী ড্যামেজ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যে রোগকে বিবেচনা করা হয় তার নাম
নেফ্রাইটিস (Nephritis/ Bright's
disease) এবং নেফ্রাইটিস হওয়ার মুল কারণও এই ঔষধ। কিডনী যদিও নিয়মিত আমাদের খাওয়া সকল ঔষধসমুহ নিষ্কাশন করে কিন্তু তার
মাঝেও ঔষধের দুয়েকটা কণা কিডনীর অজান্তেই কিডনীর গায়ে লেগে
থাকে।পরবর্তীতে সেই কণাটির ওপর নানারকমের জীবাণু, ক্যামিকেল, মৃতকোষ ইত্যাদি জমতে জমতে সেটির গঠন বদলে
যায়। ফলে কিডনী আর সেই কণাটিকে চিনতে পারে না।এক সময় কণাটি নিজে কিডনীর একটি অংশ হওয়ার চেষ্টা
করে। কিন্তু কিডনী সেই কণাটিকে গ্রহন করতে রাজী হয় না। শেষ পরযন্ত কিডনীর ভিতরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাকে ডাক্তারী ভাষায় বলে
অটোইমিউন রিয়েকশান(Auto
immune
reaction)।
এভাবে কিডনীর
এক অংশ
অন্য অংশকে
চিনতে না
পেরে শত্রু
হিসেবে গণ্য
করে এবং
তাকে ধ্বংস
করার জন্য
উঠেপড়ে লেগে
যায়।
ফলে কিডনী
নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে এবং আমরা
কবরের বাসিন্দা হয়ে যাই।সাথে সাথে আমাদের
সনতান-সনততিদের করে যাই পথের ভিখারী।
কেননা এলোপ্যাথিক চিকিৎসায়
কিডনী রোগের
যে চিকিৎসা
খরচ,
তাতে যে-কোন
কিডনী রোগীর
পরিবারকে পথে
নামতে ছয়
মাসের বেশী
লাগে
না।
কাজেই বলা যায় যে, উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস আমাদের কিডনীর যতটা ক্ষতি না
করে, তারচেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে এসব রোগ চিকিৎসার নামে যুগের পর যুগ খাওয়া
মারাত্মক ক্ষতিকর এলোপ্যাথিক কেমিক্যাল ঔষধগুলি।
বিশেষ করে যে-সব
এলোপ্যাথিক ঔষধ মানুষ বেশী
বেশী খায়
(যেমন-এন্টিবায়োটিক, ব্যথার ঔষধ, বাতের
ঔষধ, ঘুমের ঔষধ, ব্লাড প্রেসারের ঔষধ, মানসিক রোগের ঔষধ ইত্যাদি), এগুলো কিডনীর এতই ক্ষতি করে যে, এদেরকে কিডনীর যম বলাই উচিত। একটি বাস-ব সত্য কথা হলো, প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কখনও সারে
না ; বলা হয় এগুলো “নিয়ন্ত্রণে থাকে”।আসল কথা হলো, কোন ঔষধ যখন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ খাওয়া হয়, তখন সেই ঔষধ আর রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বরং রোগই সেই ঔষধকে
নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে।ফলে এসব কুচিকিৎসায় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ তো সারেই না বরং দিন দিন
আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মাঝখানে মারাত্মক মারাত্মক ঔষধের ধাক্কায় কিডনীর বারোটা বেজে
যায়। অথচ একজন বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিলে
ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপ এবং নেফ্রাইটিস দুয়েক বছরের মধ্যেই কেবল নিয়নত্রণ
(control) নয় বরং একেবারে নির্মুল (cure) হয়ে যায়। এমনকি যদি এসব রোগ নিরাময়ের জন্য যুগের পর যুগও হোমিও ঔষধ খেতে
হয়, তথাপি হোমিও চিকিৎসা করা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক
হবে। কেননা হোমিও ঔষধে যেহেতু ঔষধের পরিমাণ থাকে খুবই
কম, সেহেতু এগুলো কয়েক যুগ খেলেও কিডনীতে জমে কিডনী নষ্ট হওয়ার সম্ভাবণা
নাই। হ্যাঁ, অন্যান্য রোগের মতো কিডনী রোগের চিকিৎসাতেও হোমিও ঔষধ শ্রেষ্টত্বের
দাবীদার। কারণ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের কষ্টগুলো নিয়ন্ত্রণ
করা গেলেও কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ (Link)দূর করা যায় না। একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমেই কেবল কিডনী রোগের পেছনের মূল
কারণসমূহ দূর করা সম্ভব হয় এবং এভাবে একই রোগ কয়েক বছর পরপর ঘুরে ফিরে বার বার ফিরে
আসা ঠেকানো যায়।