শিশুদের টিকা থেকে সাবধান
শিশুদের টিকা থেকে সাবধান !
https://bashirmahmudellias.blogspot.com/vaccine/
https://bashirmahmudellias.wordpress.com/
http://www.whale.to/vaccine/chatterjee.html
সেদিন একজন সরকারী কর্মকর্তার শিশু সন্তানকে যখন টিকা দেওয়া হলো তখন সাথে সাথেই শিশুটির সমস্ত শরীর প্যারালাইজড হয়ে মরণাপন্ন দশায় উপনীত হয়। দ্রুত একটি দামী ক্লিনিকে ভর্তি করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে শিশুটিকে প্রাণে বাচাঁনো সম্ভব হয়। এই ঘটনায় তার সহকর্মী এবং অধীনস্থ কর্মচারীদের অনেকেই আড়ালে-আবডালে মন্তব্য করছিল যে, “ঘুষখোরের উপর আল্লাহর গযব পড়েছে’’। আসলেই কি এটি গজব ছিল ? ধর্মীয় বা নীতি-নৈতিকতার দৃষ্টিতে মন্তব্যটি সঠিক হলেও বিজ্ঞান কিন্তু তা বলে না। হ্যাঁ, টিকার যতগুলো মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে, তার মধ্যে একটি হলো ‘সাডেন ইনফেন্ট ডেথ সিনড্রোম’ বা শিশুর হঠাৎ মৃত্যু (SIDS-Sudden Infant Death Syndrome)। বেশ কিছু রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য বা রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ শক্তি সৃষ্টির জন্য আমরা অনেকেই এলোপ্যাথিক টিকাগুলো নিয়ে থাকি। যেমন-বিসিজি, ডিপিটি, এমএমআর, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি। অথচ টিকার (vaccine) মারাত্মক ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই খবর রাখি না। টিকার ক্রিয়াকৌশল হলো অনেকটা ‘কাটা দিয়ে কাটা তোলা’ কিংবা ‘চোর ধরতে চোর নিয়োগ দেওয়া’র মতো। যে রোগের টিকা আমরা নিয়ে থাকি, সেটি বস্তুত তৈরী করা হয়ে থাকে সেই রোগেরই জীবাণু থেকে। অর্থাৎ যে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস যে-ই রোগের সৃষ্টি করে থাকে, সেই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থেকেই সেই রোগের টিকা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে নাকি নানাবিধ জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘দুর্বল’ করে টিকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। টিকা মুখে খাওয়ানো হউক বা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হউক, সবগুলোই এই তথাকথিত ‘দুর্বল’ কিন্তু জীবিত জীবাণু দিয়ে তৈরী করা হয়। এসব ভয়ানক ক্ষতিকর জীবাণুকে ‘দুর্বল’ করার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করে একই সাথে বিখ্যাত এবং পরবর্তীতে কুখ্যাত হয়েছিলেন ফ্রান্সের বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর। কেননা লুই পাস্তুরের আবিষ্কৃত জলাতঙ্কের টিকা নিয়েই বরং বিপুল সংখ্যক লোক জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল। দাবী করা হয়ে থাকে যে, জীবাণুদের এই ‘দুর্বলতা’ একটি স্থায়ী বিষয়; কাজেই তারা কখনও শক্তিশালী হতে পারে না এবং কোন ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু নিরপেক্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, কারো শরীরে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে জীবাণুরা ঠিকই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এবং ভয়ঙ্কর ক্ষতিসাধন করতে পারে। বাস্তবে এমন ভুড়িভুড়ি প্রমাণ পাওয়া যায়।
আরেকটি চিন্তার কথা হলো, শক্তিশালী কেউটে সাপে দংশন করলে মানুষ মরবে আর দুর্বল কেউটে সাপে কামড়ালে মানুষ মরবেও না আর কোন ক্ষতিও হবে না, এমনটা বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত ? দাবী করা হয়ে থাকে যে, কোন রোগের টিকা নিলে শরীরে সেই রোগের বিরুদ্ধে একটি ক্ষণস্থায়ী প্রতিরোধ শক্তির (antibody) সৃষ্টি হয়; ফলে আগামী কয়েক বছর সেই ব্যক্তির ঐ রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু এই দাবীর একশ ভাগ গ্যারান্টি আজ পর্যনত্ম পাওয়া যায় নাই। বোয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী অধিকাংশ ব্রিটিশ সৈন্যকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারপরও ৫১,০০০ সৈন্য টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল যাদের মধ্যে ৮০০০ সৈন্য মৃত্যুবরণ করে। অন্যদিকে ইউরোপীয় যুদ্ধের সময় রাশিয়া-জাপান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অনুসারে ওয়েস্টার্ন ফ্রণ্টের সৈন্যদেরকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছিল। ফলে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র ৭০০০ সৈন্য যাদের অর্ধেক ছিল টাইফয়েডের টিকা নেওয়া এবং অর্ধেক ছিল টিকা ছাড়া। আবার গেলিপোলির যুদ্ধে সমস্ত সৈন্যকে আমাশয়ের টিকা দেওয়ার পরও ৯৬,০০০ সৈন্য আমাশয়ে আক্রান্ত হয়েছিল কেবল বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায়নি বলে। ১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্যে বাধ্যতামূলক বসন্তের টিকা নেওয়ার আইনটি যখন বাতিল করা হয়; তার পরের পরিসংখ্যানে কিন্তু যুক্তরাজ্যে বসন্ত মহামারীর সংখ্যা বা বসন্ত রোগে (small pox) মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়নি। মোটামুটি সকল টিকার শিক্ষা একটিই আর তাহলো পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর বাসস্থান ইত্যাদির অভাবকে হাজারবার টিকা দিয়েও সামলানো যায় না। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো- শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি সৃষ্টি করার পাশাপাশি টিকা নামক এই জৈব বিষ (Biological poison) অর্থাৎ জীবাণু মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা ইমিউন সিস্টেমে (immune system) মারাত্মক বিশৃঙখলার সৃষ্টি করে থাকে। আর এই বিশৃঙখলার সুযোগে ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাধার উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে যায়। ইহা আজ প্রমাণিত সত্য যে, ইমিউনিটির সর্বনাশ না হলে শরীরে ক্যান্সার বা ম্যালিগন্যান্সি (malignancy) আসতে পারে না। পৃথিবীতে রোগ-ব্যাধিকে যিনি সবার চাইতে বেশী বুঝতে পেরেছিলেন, সেই চিকিৎসা মহাবিজ্ঞানী জার্মান ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান টিকাকে অভিহিত করেছেন - মানবজাতিকে ধ্বংসের একটি ভয়ানক মারনাস্ত্ররূপে।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর ক্রিয়া এবং তা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে সর্বপ্রথম এবং সর্বাধিক গবেষনা করেছেন ব্রিটিশ হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাঃ জে. সি. বার্র্নেট (Dr. James Compton Burnett, M.D.)। ১৮৮০ সালে তিনি তাঁর সুদীর্ঘ ক্লিনিক্যাল অবজার্বেশন থেকে ঘোষণা করেন যে, টিউমার এবং ক্যান্সারের একটি অন্যতম মূল কারণ হলো এসব টিকা। বার্নেট প্রথম প্রমাণ করেন যে, থুজা (Thuja occidentalis) নামক হোমিও ঔষধটি টিকার অধিকাংশ ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিরাময় করতে সক্ষম। বার্নেটের মতে, মানুষ জন্মের সময় আল্লাহ প্রদত্ত যে স্বাস্থ্য নিয়ে জন্মায় তা হলো সবচেয়ে উৎকৃষ্ঠ স্বাস্থ্য (perfect health)। আর এই কারণে টিকা দিয়ে বা অন্য-কোন ঔষধ প্রয়োগে তাকে পরিবর্তন করা হলো একটি মাইনাস পয়েন্ট অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যের ক্ষতি করার নামান্তর। তার মানে হলো টিকা দেওয়ার ফলে একজন মানুষ তার সবচেয়ে উত্তম স্বাস্থ্য থেকে বিচ্যুত/ অধঃপতন হলো। আর সবচেয়ে উৎকৃষ্ঠ স্বাস্থ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার মানে হলো অসুস্থ্য হওয়া। কাজেই টিকা নেওয়ার ফলে শরীরের যে অবস্থা হয়, তাকে সহজ ভাষায় বলা যায় অসুস্থ অবস্থা বা রোগ আক্রান্ত অবস্থা বা পীড়াগ্রস্থ হওয়া। স্টুয়ার্ট ক্লোজ (Dr. Stuart M Close, M.D.) নামক আরেকজন ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী টিকার ন্যায় যাবতীয় পাইকারী চিকিৎসাকে সম্পূর্ণরূপে ‘এক পাক্ষিক বা এক আঙ্গিক’ (unholistic) ঘোষণা করে ইহার নিন্দা করেছেন ; কেননা ইহা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সংবেদনশীলতা (Susceptibility) নামক সার্বজনীন নীতির পরিপন্থী। সাসসেপটিভিলিটি নীতির মানে হলো একই ঔষধ একজনের উপকার করতে পারে, আরেকজনের ক্ষতি করতে পারে আবার অন্যজনের উপকার-ক্ষতি কোনটাই নাও করতে পারে।
হ্যারিস কালটার (Harris Culter) নামক একজন আমেরিকান মেডিক্যাল ঐতিহাসিক তাঁর দীঘ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এখনকার সমাজে মানসিক রোগ এবং অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধির জন্য এবং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য টিকাদান কর্মসূচীকে দায়ী করেছেন। টিকা কেবল আমাদের শরীরকে নয়, আমাদের মনকেও বিষিয়ে তুলেছে। মানুষের মধ্যে আজকাল যে উগ্রমেজাজ, প্রতিশোধ প্রবনতা, অপরাধে আসক্তি, কথায় কথায় খুন করার মানসিকতা, মাদকাসক্তি, সমকামিতা, আত্মহত্যার প্রবনতা প্রভৃতি লক্ষ্য করা যায় তারও মূলে রয়েছে এই কুলাঙ্গার টিকা। বিশেষত বিসিজি টিকা শিশুদের মনে ধ্বংসাত্মক প্রবণতা সৃষ্টি করে। ইহার ফলে শিশুরা এমন দুর্দান্ত স্বভাবের হয় যে, তাদেরকে শাসন বা নিয়নত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এরা হয় গোয়ার, কথায় কথায় মারামারি এবং ভাঙচুড়ে ওস্তাদ। বর্তমানে প্রচলিত মারাত্মক মারাত্মক অনেক চর্মরোগেরও মূল কারণ এই খতরনাক টিকা। একটি ওয়েবসাইটে টিকা নেওয়ার ফলে শিশুদের যে-সব মারাত্মক মারাত্মক চর্মরোগ হয়েছে, তাদের অনেকগুলো ছবি দেওয়া আছে, যা দেখলে যে-কেউ শিউরে উঠবেন। সম্প্রতি একটি গবেষণায় ঈঙ্গিত করা হয়েছে যে, একিউট ডিজিজের (acute diseases) পরিমাণ কমে গিয়ে এলার্জি, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, টিউমার, ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ক্রনিক ডিজিজের সংখ্যা মহামারী আকারে বৃদ্ধি পাওয়ার মূলে আছে এসব পাইকারী টিকাদান কর্মসুচী। কুলকান (Kulcan) নামক একজন ব্রিটিশ গবেষক লক্ষ্য করেন যে, মানুষের চুল টিকার দ্বারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় থাকে। টিকা নেওয়ার ফলে কারো কারো চুল পাতলা হয়ে যায়, কারো কারো চুল পড়ে টাঁক হয়ে যায় এবং কারো কারো ক্ষেত্রে অনাকাঙিখত স্থানে বেশী বেশী চুল গজাতে থাকে। ডাঃ বার্নেট দীর্ঘ গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে, টাক (Alopecia areata) পড়ার মূল কারণ হলো দাদ (Ringworm) এবং দাদের মূল কারণ হলো টিকা। এই কারণে দেখা যায় শহরে মানুষদের মধ্যে টাক পড়ে বেশী এবং গ্রামের মানুষদের মধ্যে টাক পড়ার হার খুবই কম ; কেননা গ্রামের লোকেরা টিকা/ ভ্যাকসিন তেমন একটা নেয় না। আমার দ্বিতীয় মেয়েটির ঘটনা মনে আছে, জন্মের সময় তার মাথা ভরা চুল ছিল এবং জন্মের একমাস পর তাকে এক ডোজ পোলিও টিকার খাওয়ানোর পর থেকে দুই-তিন মাসের মধ্যেই তার চুল পড়তে পড়তে অর্ধেক মাথা টাক পড়ে যায়। তখন আমি টিকার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। তারপর তাকে কয়েক মাত্রা থুজা খাওয়ানোর পর আবার ধীরে ধীরে চুল গজাতে শুরু করে।
সম্প্রতি ডাঃ রিচার্ড পিটকেয়ার্ন (Dr. Richard Pitcairn) নামক একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী আমেরিকার গৃহপালিত পোষা প্রাণীদের ওপর গবেষণা করে দেখতে পান যে, যেসব পশুদের টিকা দেওয়া হয়েছে তদের দাঁত ক্ষয় (dental caries) হয় বেশী বেশী। আমেরিকানরা কেবল পাইকারী হারে টিকা নিতেই অভ্যস্থ নয় বরং একই সাথে তাদের গৃহপালিত পোষা প্রাণীদেরকেও পাইকারী হারে টিকা দিতে ওস্তাদ। আবার একই অবস্থা দেখা গেছে মানুষের ক্ষেত্রেও ; টিকা না নেওয়া শিশুদের চাইতে টিকা নেওয়া শিশুদের দাঁত ক্ষয় হয় বেশী মাত্রায়। এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে যে, টিকা নেওয়া শিশুদেরকে যতই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হোক না কেন, তাদের দাঁত ধ্বংস হবেই এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দাঁত ক্ষয় হয় দাঁতের বাহিরের দিকে মাড়ির কাছাকাছি (neck lesions)। যেহেতু দাঁতের সাথে হাড়ের গঠনের খুবই ঘনিষ্ট মিল আছে ; তাই বলা যায় এসব খতরনাক টিকা আমাদের হাড়েরও ক্ষতি করে থাকে সমানভাবে। আর হাড়ের ক্ষতি হলে শরীরে রক্ত কমে যায় ; কেননা আমাদের রক্ত উৎপন্ন হয় হাড়ের ভিতরে (bone marrow)। আর রক্ত কমে গেলে বা রক্তের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোন ত্রুটি দেখা দিলে মানুষ অস্থিচমর্সার বা কঙ্কালে (emaciated) পরিণত হয়। তাই বলা যায়, ব্লাড ক্যানসারেরও (blood cancer) একটি বড় কারণ এসব টিকা। ডিপিটি টিকার কুফলে আপনার শিশুর তাৎক্ষণিক মৃত্যু হতে পারে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে শিশুর ব্রেনও ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। ফলে সে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বা অটিজমের (Autism) স্বীকার হতে পারে। অবশ্য অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, হাম (measles), মাম্পস বা কণর্মূল প্রদাহ (mumps), হেপাটাইটিস এবং রুবেলা (rubella) ভ্যাকসিনেরও মানুষ এবং পোষাজন্তুদের ব্রেন ড্যামেজ করার ক্ষমতা আছে। বতমানে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি শিশুদের সংখ্যা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সচেতন ব্যক্তিরা মানবজাতির ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন। কেননা ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নেতৃত্ব তো আজকের শিশুদেরকেই নিতে হবে। শিশুদের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিত্ব বা অটিজমে (Autism) আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ যে এইসব টিকা, তা অগণিত গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। ইন্টারনেটে সামান্য খোজাঁখুঁজি করলেই এসব টিকা নেওয়ার ফলে অগণিত শিশুর করুণ মৃত্যু, ব্রেন ড্যামেজ হওয়া, ক্যান্সার, টিউমার, ব্লাড ক্যানসার প্রভৃতি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার এমন অগণিত কেইস হিস্ট্রি দেখতে পাবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে, যে-সব দেশে টিকা নেওয়ার হার বেশী, সে সব দেশে ক্যান্সারে মৃত্যুর হারও বেশী। শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো থেকে স্বয়ং তার পিতা-মাতা পোলিও রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কেননা পোলিও টিকাতে পোলিও রোগের জীবিত ভাইরাস থাকে যা অনেকদিন পযর্ন্ত শিশুর মল-মুত্র-থুথু-কাশিতে অবস'ান করে। এসময় শিশুকে চুমু খেলে বা শিশুর পায়খানা-প্রস্রাব স্পর্শ করার মাধ্যমে পিতা-মাতা-দাদা-দাদীও পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, যদি তাদের শরীরে পোলিও রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বিদ্যমান না থাকে বা তাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়ে থাকে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর রোনাল্ড ডেসরোজিয়ারের মতে, পোলিও টিকাতে আরেকটি ভয়ঙ্কর বিপদ আছে যা ভবিষ্যতে টাইম বোমার মতো বিস্ফোণের সৃষ্টি করতে পারে। আর তা হলো পোলিও টিকা তৈরীতে বানরের কিডনীর টিস্যু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে বানরদের শরীরে থাকা মারাত্মক সব ভাইরাস পোলিও টিকার মাধ্যমে মানবজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে যা অকল্পনীয় বিপর্যয় ডেকে আনবে। ডেসরোজিয়ারের মতে, ‘আপনি হয়ত বলতে পারেন যে, ভাইরাসমুক্ত বানরের টিস্যু ব্যবহার করলেই হলো। কিন্তু সমস্যা হলো&