Cancer and its easiest cure in homeopathy
একজন শিশু
বিশেষজ্ঞের (pediatriacian) কথা আমার মনে আছে যার গালে টিউমার হয়েছিল। ফলে অপারেশন করে
টিউমার কেটে ফেলে দেওয়ার ছয়মাস পরে গালে ক্যান্সার
ধরা পড়ে।
এবার ক্যান্সারসহ
গাল কেটে
ফেলে দেওয়ার
ছয়মাস পরেই
চোয়ালের হাড়ে
ক্যান্সার দেখা
দেয় এবং
আবার অপারেশন
করে একপাশের
সব দাঁতসহ
চোয়াল কেটে
ফেলে দেওয়া
হয়। ফলে
এক বছরের
মধ্যে তিন
তিনটি অপারেশনের
ধাক্কায় তার
স্বাস্থ্য এতোই ভেঙে পড়ে যে, টিউমার দেখা দেওয়ার দেড় বছরের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। অথচ অপারেশন না করে ভদ্রলোক যদি বিনা চিকিৎসায়ও
থাকতেন, তথাপি
এর চাইতে
অনেক বেশী
দিন বাঁচতেন।
অপারেশনের পরে
হাসপাতালের বেডে
যেই নারকীয়
কষ্ট ভোগ
করেছেন, তা
না হয়
বাদই দিলাম (তিন
মাস তো
কেবল স্যুপ
আর জুস
খেয়ে বেঁচেছিলেন, তাও গলা ছিদ্র করে ঢুকানো রাবারের পাইপ দিয়ে !)।
হ্যাঁ, সার্জনরা
অনেক সময়
অজ্ঞতার কারণে
অথবা টাকার
লোভে অনাকাঙ্খিত
অপারেশনের মাধ্যমে ক্যান্সার
রোগীদের মৃত্যুকে তরান্বিত
করে থাকেন।
বহুল প্রচলিত
এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ক্যানসারের
চিকিৎসা করা
হয় কেমোথেরাপি,
অপারেশন এবং রেডিয়েশন দিয়ে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে কেমোথেরাপি।
অথচ নিরপেক্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের
মতে, এসব
পদ্ধতিতে ক্যানসারের রোগীদের কোন উপকার হওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। বরং এগুলো ক্যানসার
রোগীদের শরীরকে
এবং জন্মগত
রোগ প্রতিরোধ
শক্তিকে (immune
system) দুর্বল করার মাধ্যমে ক্যানসারেরই
উপকার করে
এবং রোগীর
ড়্গতি করে
থাকে। এভাবে
এসব অপচিকিৎসা
ক্যানসার রোগীর
মৃত্যুকে আরো
কাছে টেনে
আনে। ফ্রান্সের
একজন ক্যানসার
গবেষক বিজ্ঞানী
প্রফেসর জর্জ
ম্যাথি (Dr.
George Mathé) বলেন যে, “যদি আমি ক্যানসারে
আক্রান্ত হই, তবে আমি কখনও এসব (কেমোথেরাপি,
রেডিয়েশন, অপারেশন ইত্যাদি)
চিকিৎসা গ্রহন
করব না।
কেননা যে-সব
ক্যানসার রোগী
এসব (কু) চিকিৎসা
থেকে অনেক
অনেক দূরে
থাকতে পারেন,
একমাত্র তাদেরই
বাঁচার আশা
আছে”।
সে যাক,
হোমিওপ্যাথিতে টিউমার এবং ক্যান্সারের
চিকিৎসায় অনেকটা
বিপ্লবের সূচনা
করেন ব্রিটিশ
হোমিও চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ জে. সি. বার্নেট (এম.ডি.)।
১৮৭০ থেকে
১৯০১ সাল
পর্যন্ত ঔষধে টিউমার এবং ক্যান্সার
নির্মুলকারী হিসেবে সারা দুনিয়ায় তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। হোমিওপ্যাথিতে
প্রচলিত টিউমার/
ক্যানসারের ঔষধগুলোর
বেশীর ভাগই
বার্নেট আবিষ্কার করেন এবং ক্যানসারের
এসব ভয়ঙ্কর
ভয়ঙ্কর ঔষধ
তাঁর নিজের
শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণে অল্প বয়সেই তিনি হার্ট এটাকে মৃত্যুবরণ করেন। বার্নেট তাঁর দীর্ঘ গবেষণায় প্রমাণ করেছিলেন
যে, টিউমার
এবং ক্যান্সারের
একটি বড়
কারণ হলো
টিকা বা
ভ্যাকসিনের (vaccine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
তিনিই প্রথম
আবিষ্কার করেন
যে, থুজা (Thuja occidentalis) নামক হোমিও ঔষধটি টিকার প্রতিক্রিয়ায়
সৃষ্ট অধিকাংশ
রোগ দূর
করতে সক্ষম।
তিনি সব
সময় বলতেন
যে, “ছোট
হাতে টিউমার
এবং ক্যান্সার
নিরাময় করা
সম্ভব নয় ;
এজন্য বড়
হাত লাগবে”।
অর্থাৎ সাধারণ
হোমিও ডাক্তারদের দ্বারা টিউমার এবং ক্যান্সারের
চিকিৎসা সফল
হয় না
বরং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রচণ্ড দক্ষতা আছে এমন ডাক্তার প্রয়োজন। টিউমার এবং ক্যান্সারের
চিকিৎসায় তিনি
একটি বিশেষ
পদ্ধতি প্রবর্তন
করেন যাকে
মই বা
লেডার পদ্ধতি (Ladder system) নামে অভিহিত করতেন। অর্থাৎ অনেক উপরে উঠতে যেমন আমাদের মইয়ের অনেকগুলো
ধাপ ডিঙাতে
হয়, তেমনি
টিউমার এবং
ক্যান্সারের মতো
মারাত্মক জটিল
রোগের চিকিৎসাতেও লক্ষণ অনুযায়ী একে একে অনেকগুলো
ঔষধের সাহায্য
নিতে হয়।
এবার আসা
যাক ক্যানসার
নিয়ে গবেষণার
বিষয়ে। দুইবার
নোবেল পুরষ্কার
বিজয়ী বিজ্ঞানী
লিনাস পওলিঙের (Linus Pauling, phd)
মতে, “প্রত্যেকেরই
জানা উচিত
যে, অধিকাংশ
ক্যান্সার গবেষণা চরম ধোঁকাবাজি
ছাড়া কিছুই
নয় এবং
বেশীর ভাগ
ক্যানসার গবেষণা
প্রতিষ্টান তাদের (আর্থিকভাবে) সাহায্যকারীদের
চাটুকারিতা নিয়ে
ব্যস্ত”। বলা যায়, ক্যান্সারের
নামে গবেষণা
বর্তমানে সবচেয়ে
লাভজনক ব্যবসা।
গত পঞ্চাশ
বছরে এসব
গবেষণা প্রতিষ্টান বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন, ঔষধ কোম্পানি এবং রাষ্ট্রের
নিকট থেকে
বিলিয়নকে বিলিয়ন
ডলার সাহায্য
পেয়েছে। কিন্তু প্রায় এক শতাব্দি পেরিয়ে গেলেও এসব গবেষণা প্রতিষ্টান
ক্যানসারের প্রকৃত চিকিৎসা আবিষ্কারের
ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র
অগ্রগতি দেখাতে
পারে নাই।
গত একশ
বছর যাবতই
মানুষকে শোনানো
হচ্ছে যে,
বিজ্ঞানীরা ক্যানসারের কার্যকর চিকিৎসা আবিষ্কারের
একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছেন ! একেবারে নাকের ডগায় !! কিন্তু শেষ পরযন্ত এটি গাধাকে মুলা দেখানোর মতোই অধরাই রয়ে গেছে। অথচ যতই দিন যাচ্ছে, ক্যানসারের
আক্রমণ ক্রমাগতভাবে আশংকাজনক
হারে ততই
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ১৯৪০ সালে অস্ট্রেলিয়ার
যেখানে ১২%
মানুষ ক্যান্সারের মৃত্যুবরণ
করত, সেখানে
১৯৯২ সালে
তা বৃদ্ধি
পেয়ে ২৫.৯%-এ
দাঁড়িয়েছে।