প্যাথলজিক্যাল
টেস্ট মারাত্মক
ক্ষতিকর
http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2010/04/pathological-tests-are-seriously.html
https://bashirmahmudellias.wordpress.com/
প্রথম কথা
হলো ডাক্তাররা
তাদের পেশাগত ডিগ্রি অর্জনের জন্য যত ব্যাপক পড়াশোনা করেন, তাতে ৯৫ ভাগ
রোগ তারা
কোন প্রকার
টেস্ট না
করেই নির্ণয়
করতে পারেন। রোগীকে পাঁচ-দশটি প্রশ্ন করলেই তিনি রোগ সম্পর্কে
নিশ্চিত হতে
পারেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাক্তাররা
এক বস্তা টেস্ট
দেন, তাদের দ্বায়িত্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য এবং ডায়াগনস্টিক
কোম্পানির কাছ
থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা
কমিশন খাওয়ার
জন্য। আবার অনেক
সময় দেখা
যায় যে, ডাক্তার সাহেব টেস্ট দেওয়া প্রয়োজন মনে করেন না অথচ রোগীরাই জোর করে টেস্ট লিখিয়ে নিচ্ছেন। ভাবখানা এমন
যে, এসব টেস্ট
করা খুবই
জরুরি কিংবা
শরীরের জন্য
সাংঘাতিক উপকারী। অনেকে প্রত্যাশা করতে পারেন যে, চিকিৎসা কাজে গোজামিল
থাকলেও প্রচলিত
রোগ নির্ণয়
পদ্ধতি (pathology) নিশ্চয়
একশ ভাগ
বিজ্ঞানসম্মত। কেননা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে
খুবই উচ্চ
প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিয়তির পরিহাস যে, বাস্তব পরিসংখ্যান
এমনটা প্রমাণ
করে না। সমপ্রতি দুইজন রোগ নির্ণয় বিজ্ঞানী (pathologist) ৪০০
রোগীর মৃতদেহ
ময়না তদন্ত (autopsy-postmortem) করে
দেখতে পেয়েছেন
যে, অর্ধেকেরও বেশী রোগীর ক্ষেত্রে
রোগ নির্ণয়
ভুল ছিল। সহজ কথায়
বলতে গেলে
বলতে হয়
যে, এদেরকে ভুল
চিকিৎসা দেওয়া
হয়েছিল এবং
আরো সহজ
কথায় বলতে
গেলে বলা
যায় যে, ভুল চিকিৎসার
কারণেই এদের
মর্মান্তিক অকালমৃত্যু
হয়েছে। হায় ডাক্তার ! হায় রোগ নির্ণয় !!
হায় ঔষধ !!! হায়
এলোপ্যাথি !!!! এই
দুইজন প্যাথলজিষ্ট তাদের গবেষণায় আরো দেখিয়েছেন
যে, অত্যাধুনিক সব প্যাথলজিক্যাল
টেস্ট করার
পরও ১৩৪ টি
নিউমোনিয়ার কেইসে ৬৫ টির বেলায় ডাক্তাররা
রোগ নির্ণয়
করতে ব্যর্থ
হয়েছে এবং
৫১ টি হার্ট এটাকের ক্ষেত্রে ১৮ টিতে রোগ নির্ণয়
করতে ব্যর্থ
হয়েছে। এজন্য বলা
হয় যে, অজ্ঞতা এখনও
ডাক্তারী পেশায়
মাশায়াল্লাহ তার
দাপট বজায়
রেখেছে। হ্যাঁ, প্যাথলজিক্যাল টেস্ট হলো আরেকটি বড় ধরণের প্রতারণা।
অধিকাংশ হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা
প্যাথলজিক্যাল টেস্টকে একশ বছর আগেও “রক্ত গণনার ফ্যাশন“ (blood
counting
fashion) নামে অভিহিত করে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতেন, এখনও
তাই মনে
করেন। কেননা এগুলো
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাই-টেক প্রতারণা। যেমন ডাক্তাররা বলবে যে, আপনার রক্তের অমুক
উপাদানের মাত্রা
বেড়ে গিয়ে
আপনার অমুক
রোগ হয়েছে। তারপর এক
বস্তা ক্ষতিকর
ক্যামিকেল
ঔষধ খাওয়ানোর
পর দেখা
গেলো যে, আপনার রক্ত
পরীক্ষার রিপোর্ট
স্বাভাবিক এসেছে। ডাক্তার বলবে, এখন আপনি
সুস্থ(!) অথচ বাস্তবে আপনার
অবস্থা আগে
চাইতেও খারাপ
হয়ে গেছে। আবার অনেক
সময় ব্লাড
টেস্ট, পায়খানা, প্রস্রাব, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, এমআরআই, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি ইত্যাদি অসংখ্য টেস্ট করে রিপোর্ট দেখে বলবে, আপনার কোন
রোগই নাই; অথচ ব্যথার
চোটে আপনার
দম বেরিয়ে
যাচ্ছে, ঘুম হারাম
হয়ে গেছে ! কেউ কেউ
মনে করতে
পারেন যে, এসব প্যাথলজিক্যাল টেস্টে কেবল টাকা নস্ট হয় কিন্তু শরীরের কোন
ক্ষতি হয়
না। কিন্তু এটি একটি বিরাট ভুল
ধারণা। রক্ত পরীক্ষার জন্য সুই দিয়ে ছিদ্র করে যখন রক্ত বের করা হয়, তাতে আপনার
শরীরের অনেকগুলো
স্মায়ু কোষ
(nerve
cell) ছিড়ে
যায়। ফলে স্নায়ুতে
উত্তেজনার (upheaval) সৃষ্টি হয়।
আপনি যত
বেশী ইনজেকশান
নিবেন অথবা
শরীরের উপর
ছুরি-চাকু (surgical procedure) ব্যবহার
করবেন, স্নায়ুতন্তুতে (nervous
tissue) তত বেশী
উত্তেজনার সৃষ্টি
হবে। এভাবে বেশী
বেশী উত্তেজনার
ফলে আপনার
কোষতন্তুতে বিদ্রোহ (revolt) দেখা দিবে। আর ডাক্তারী
ভাষায় কোষতন্তুর (tissue) বিদ্রোহকে
বলা হয়
ক্যান্সার (cancer)। হ্যাঁ, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, বিভিন্নভাবে আঘাতের মাধ্যমে স্নায়ুতন্তুকে উত্যক্ত
করাই ক্যান্সারের মূল কারণ। তারপর আসে
এক্স-রে। বেশী বেশী
এক্স-রে করলে
ক্যান্সার হয়, এটি বহু
পুরনো কথা। আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় খুবই সূক্ষ্মমাত্রার
শব্দ তরঙ্গ(micro
wave) ব্যবহার
করে, যারা এমনকি
জীবাণুকে পযর্ন্ত ধ্বংস
করতে পারে। কাজেই এটিও
আপনার শরীরের
ক্ষতি করে
থাকে এবং
শরীরের মধ্যে
থাকা উপকারী
জীবাণুকেও হত্যা
করতে পারে। এমআরআই (MRI), সিটিস্ক্যান (CT
scan) হলো
এক ধরণের
এক্স-রে। কাজেই এগুলো
শরীরে ক্যান্সার
হওয়ার সম্ভাবনা
বাড়িয়ে দেয়
বহুগুণে। এমআরআই (Magnetic resonance
imaging-MRI) টেস্ট
করার সময়
আপনার মৃত্যু
এবং অন্যান্য
বড় ধরনের
ক্ষতিও হতে
পারে। যাদের
হার্টে পেসমেকার
(Pacemakers) বা
শরীরে অন্যকোন
ধাতব যন্ত্রপাতি
ফিট করা
আছে, তাদের
এমআরআই করা
নিষিদ্ধ।
স্তন ক্যান্সার
নির্ণয়ের জন্য
মেমোগ্রাফী (Mammography) নামে একটি টেস্ট করা হয়, যাতে স্তনকে একটি যন্ত্রের
মাধ্যমে চেপে
ধরে বিভিন্ন
এংগেলে (angle) কয়েকটি এক্স-রে করা হয়। এই টেস্ট করতে যেহেতু রেডিয়েশন (X-ray) ব্যবহৃত হয়, তাই এতে ক্যান্সার
হওয়ার সম্ভাবনা আছে ষোলআনা। পত্র-পত্রিকা-রেডিও-টিভিতে
প্রায়ই বিজ্ঞাপন
দেওয়া হয়
যে, তাড়াতাড়ি
স্তন ক্যান্সার
সনাক্ত (early detection) করার জন্য প্রতিটি সচেতন নারীর উচিত বছরে একবার করে মেমোগ্রাফী
টেস্ট করা।
অথচ আপনি
যদি দুই/চার
বার মেমোগ্রাফী
করেন, তবে
মেমোগ্রাফী টেস্টের কারণেই বরং আপনি আরো আগে স্তন ক্যান্সারে
আক্রান্ত হবেন। কেননা রেডিয়েশানই (radiation) হলো ক্যানসারে
আক্রান্ত হওয়ার একটি বহুল প্রমাণিত
বড় কারণ।
বলা হয়ে
থাকে, যখন
থেকে চিকিৎসা
ক্ষেত্রে এক্স-রে (X-ray) চালু হয়েছে, তখন থেকেই ক্যান্সারের
হার বৃদ্ধি
পেয়েছে দ্রুতগতিতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মহিলা যদি বছরের একবার করে ১০ বছর মেমোগ্রাফী
করেন, তবে
সে যে
পরিমাণ রেডিয়েশনের শিকার হবে, তা হিরোশিমার
এটম বোমার
রেডিয়েশনের প্রায় অধের্ক। এই কারণে ১৯৭৬ সালে আমেরিকান
ক্যানসার সোসাইটি এবং ন্যাশনাল ক্যানসার
ইনিষ্টিটিউট তাদের এক ঘোষণায় অপ্রয়োজনে
মেমোগ্রাফী টেস্ট করাতে সবাইকে নিষেধ করেছেন। তাছাড়া এই মেমোগ্রাফী
টেস্ট অধিকাংশ
ক্ষেত্রে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে থাকে। ক্যানসার
না থাকলে
বলবে আছে
আবার ক্যানসার
থাকলে বলবে
নাই ; অন্যদিকে
নরমাল টিউমারকে
বলবে ক্যানসার
এবং ক্যানসারকে
বলবে নরমাল
টিউমার। ১৯৯৩
সালের ২৬
মে আমেরিকান
মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের জার্নালে
প্রকাশিত একটি
গবেষণায় বলা
হয়েছে যে,
মেমোগ্রাফী টেস্টে ২০% থেকে ৬৩% ক্ষেত্রে ভুল রিপোর্ট আসতে পারে। কাজেই নিয়মিত মেমোগ্রাফী
টেস্ট করতে
বিজ্ঞাপন দিয়ে
নারীদের উৎসাহিত
করা নেহায়েত
হাস্যকর ধান্ধাবাজি ছাড়া আর কিছুই না।
টেস্ট মারাত্মক
ক্ষতিকর
http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2010/04/pathological-tests-are-seriously.html
https://bashirmahmudellias.wordpress.com/
প্রথম কথা
হলো ডাক্তাররা
তাদের পেশাগত ডিগ্রি অর্জনের জন্য যত ব্যাপক পড়াশোনা করেন, তাতে ৯৫ ভাগ
রোগ তারা
কোন প্রকার
টেস্ট না
করেই নির্ণয়
করতে পারেন। রোগীকে পাঁচ-দশটি প্রশ্ন করলেই তিনি রোগ সম্পর্কে
নিশ্চিত হতে
পারেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাক্তাররা
এক বস্তা টেস্ট
দেন, তাদের দ্বায়িত্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য এবং ডায়াগনস্টিক
কোম্পানির কাছ
থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা
কমিশন খাওয়ার
জন্য। আবার অনেক
সময় দেখা
যায় যে, ডাক্তার সাহেব টেস্ট দেওয়া প্রয়োজন মনে করেন না অথচ রোগীরাই জোর করে টেস্ট লিখিয়ে নিচ্ছেন। ভাবখানা এমন
যে, এসব টেস্ট
করা খুবই
জরুরি কিংবা
শরীরের জন্য
সাংঘাতিক উপকারী। অনেকে প্রত্যাশা করতে পারেন যে, চিকিৎসা কাজে গোজামিল
থাকলেও প্রচলিত
রোগ নির্ণয়
পদ্ধতি (pathology) নিশ্চয়
একশ ভাগ
বিজ্ঞানসম্মত। কেননা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে
খুবই উচ্চ
প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিয়তির পরিহাস যে, বাস্তব পরিসংখ্যান
এমনটা প্রমাণ
করে না। সমপ্রতি দুইজন রোগ নির্ণয় বিজ্ঞানী (pathologist) ৪০০
রোগীর মৃতদেহ
ময়না তদন্ত (autopsy-postmortem) করে
দেখতে পেয়েছেন
যে, অর্ধেকেরও বেশী রোগীর ক্ষেত্রে
রোগ নির্ণয়
ভুল ছিল। সহজ কথায়
বলতে গেলে
বলতে হয়
যে, এদেরকে ভুল
চিকিৎসা দেওয়া
হয়েছিল এবং
আরো সহজ
কথায় বলতে
গেলে বলা
যায় যে, ভুল চিকিৎসার
কারণেই এদের
মর্মান্তিক অকালমৃত্যু
হয়েছে। হায় ডাক্তার ! হায় রোগ নির্ণয় !!
হায় ঔষধ !!! হায়
এলোপ্যাথি !!!! এই
দুইজন প্যাথলজিষ্ট তাদের গবেষণায় আরো দেখিয়েছেন
যে, অত্যাধুনিক সব প্যাথলজিক্যাল
টেস্ট করার
পরও ১৩৪ টি
নিউমোনিয়ার কেইসে ৬৫ টির বেলায় ডাক্তাররা
রোগ নির্ণয়
করতে ব্যর্থ
হয়েছে এবং
৫১ টি হার্ট এটাকের ক্ষেত্রে ১৮ টিতে রোগ নির্ণয়
করতে ব্যর্থ
হয়েছে। এজন্য বলা
হয় যে, অজ্ঞতা এখনও
ডাক্তারী পেশায়
মাশায়াল্লাহ তার
দাপট বজায়
রেখেছে। হ্যাঁ, প্যাথলজিক্যাল টেস্ট হলো আরেকটি বড় ধরণের প্রতারণা।
অধিকাংশ হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা
প্যাথলজিক্যাল টেস্টকে একশ বছর আগেও “রক্ত গণনার ফ্যাশন“ (blood
counting
fashion) নামে অভিহিত করে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতেন, এখনও
তাই মনে
করেন। কেননা এগুলো
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাই-টেক প্রতারণা। যেমন ডাক্তাররা বলবে যে, আপনার রক্তের অমুক
উপাদানের মাত্রা
বেড়ে গিয়ে
আপনার অমুক
রোগ হয়েছে। তারপর এক
বস্তা ক্ষতিকর
ক্যামিকেল
ঔষধ খাওয়ানোর
পর দেখা
গেলো যে, আপনার রক্ত
পরীক্ষার রিপোর্ট
স্বাভাবিক এসেছে। ডাক্তার বলবে, এখন আপনি
সুস্থ(!) অথচ বাস্তবে আপনার
অবস্থা আগে
চাইতেও খারাপ
হয়ে গেছে। আবার অনেক
সময় ব্লাড
টেস্ট, পায়খানা, প্রস্রাব, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, এমআরআই, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি ইত্যাদি অসংখ্য টেস্ট করে রিপোর্ট দেখে বলবে, আপনার কোন
রোগই নাই; অথচ ব্যথার
চোটে আপনার
দম বেরিয়ে
যাচ্ছে, ঘুম হারাম
হয়ে গেছে ! কেউ কেউ
মনে করতে
পারেন যে, এসব প্যাথলজিক্যাল টেস্টে কেবল টাকা নস্ট হয় কিন্তু শরীরের কোন
ক্ষতি হয়
না। কিন্তু এটি একটি বিরাট ভুল
ধারণা। রক্ত পরীক্ষার জন্য সুই দিয়ে ছিদ্র করে যখন রক্ত বের করা হয়, তাতে আপনার
শরীরের অনেকগুলো
স্মায়ু কোষ
(nerve
cell) ছিড়ে
যায়। ফলে স্নায়ুতে
উত্তেজনার (upheaval) সৃষ্টি হয়।
আপনি যত
বেশী ইনজেকশান
নিবেন অথবা
শরীরের উপর
ছুরি-চাকু (surgical procedure) ব্যবহার
করবেন, স্নায়ুতন্তুতে (nervous
tissue) তত বেশী
উত্তেজনার সৃষ্টি
হবে। এভাবে বেশী
বেশী উত্তেজনার
ফলে আপনার
কোষতন্তুতে বিদ্রোহ (revolt) দেখা দিবে। আর ডাক্তারী
ভাষায় কোষতন্তুর (tissue) বিদ্রোহকে
বলা হয়
ক্যান্সার (cancer)। হ্যাঁ, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, বিভিন্নভাবে আঘাতের মাধ্যমে স্নায়ুতন্তুকে উত্যক্ত
করাই ক্যান্সারের মূল কারণ। তারপর আসে
এক্স-রে। বেশী বেশী
এক্স-রে করলে
ক্যান্সার হয়, এটি বহু
পুরনো কথা। আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় খুবই সূক্ষ্মমাত্রার
শব্দ তরঙ্গ(micro
wave) ব্যবহার
করে, যারা এমনকি
জীবাণুকে পযর্ন্ত ধ্বংস
করতে পারে। কাজেই এটিও
আপনার শরীরের
ক্ষতি করে
থাকে এবং
শরীরের মধ্যে
থাকা উপকারী
জীবাণুকেও হত্যা
করতে পারে। এমআরআই (MRI), সিটিস্ক্যান (CT
scan) হলো
এক ধরণের
এক্স-রে। কাজেই এগুলো
শরীরে ক্যান্সার
হওয়ার সম্ভাবনা
বাড়িয়ে দেয়
বহুগুণে। এমআরআই (Magnetic resonance
imaging-MRI) টেস্ট
করার সময়
আপনার মৃত্যু
এবং অন্যান্য
বড় ধরনের
ক্ষতিও হতে
পারে। যাদের
হার্টে পেসমেকার
(Pacemakers) বা
শরীরে অন্যকোন
ধাতব যন্ত্রপাতি
ফিট করা
আছে, তাদের
এমআরআই করা
নিষিদ্ধ।
স্তন ক্যান্সার
নির্ণয়ের জন্য
মেমোগ্রাফী (Mammography) নামে একটি টেস্ট করা হয়, যাতে স্তনকে একটি যন্ত্রের
মাধ্যমে চেপে
ধরে বিভিন্ন
এংগেলে (angle) কয়েকটি এক্স-রে করা হয়। এই টেস্ট করতে যেহেতু রেডিয়েশন (X-ray) ব্যবহৃত হয়, তাই এতে ক্যান্সার
হওয়ার সম্ভাবনা আছে ষোলআনা। পত্র-পত্রিকা-রেডিও-টিভিতে
প্রায়ই বিজ্ঞাপন
দেওয়া হয়
যে, তাড়াতাড়ি
স্তন ক্যান্সার
সনাক্ত (early detection) করার জন্য প্রতিটি সচেতন নারীর উচিত বছরে একবার করে মেমোগ্রাফী
টেস্ট করা।
অথচ আপনি
যদি দুই/চার
বার মেমোগ্রাফী
করেন, তবে
মেমোগ্রাফী টেস্টের কারণেই বরং আপনি আরো আগে স্তন ক্যান্সারে
আক্রান্ত হবেন। কেননা রেডিয়েশানই (radiation) হলো ক্যানসারে
আক্রান্ত হওয়ার একটি বহুল প্রমাণিত
বড় কারণ।
বলা হয়ে
থাকে, যখন
থেকে চিকিৎসা
ক্ষেত্রে এক্স-রে (X-ray) চালু হয়েছে, তখন থেকেই ক্যান্সারের
হার বৃদ্ধি
পেয়েছে দ্রুতগতিতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মহিলা যদি বছরের একবার করে ১০ বছর মেমোগ্রাফী
করেন, তবে
সে যে
পরিমাণ রেডিয়েশনের শিকার হবে, তা হিরোশিমার
এটম বোমার
রেডিয়েশনের প্রায় অধের্ক। এই কারণে ১৯৭৬ সালে আমেরিকান
ক্যানসার সোসাইটি এবং ন্যাশনাল ক্যানসার
ইনিষ্টিটিউট তাদের এক ঘোষণায় অপ্রয়োজনে
মেমোগ্রাফী টেস্ট করাতে সবাইকে নিষেধ করেছেন। তাছাড়া এই মেমোগ্রাফী
টেস্ট অধিকাংশ
ক্ষেত্রে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে থাকে। ক্যানসার
না থাকলে
বলবে আছে
আবার ক্যানসার
থাকলে বলবে
নাই ; অন্যদিকে
নরমাল টিউমারকে
বলবে ক্যানসার
এবং ক্যানসারকে
বলবে নরমাল
টিউমার। ১৯৯৩
সালের ২৬
মে আমেরিকান
মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের জার্নালে
প্রকাশিত একটি
গবেষণায় বলা
হয়েছে যে,
মেমোগ্রাফী টেস্টে ২০% থেকে ৬৩% ক্ষেত্রে ভুল রিপোর্ট আসতে পারে। কাজেই নিয়মিত মেমোগ্রাফী
টেস্ট করতে
বিজ্ঞাপন দিয়ে
নারীদের উৎসাহিত
করা নেহায়েত
হাস্যকর ধান্ধাবাজি ছাড়া আর কিছুই না।