উপস্থাপনায় – ডাঃ বশীর
মাহমুদ ইলিয়াস
‡jLv
I wWRvBb - Wvt
ekxi gvngy`
Bwjqvm
-Avj
nv`xm (gymbv‡` Bgvg
Avng`)
-Avj
nv`xm (wZiwgRx
kixd)
-Avj
nv`xm (‡evLvix
kixd)
- Avj nv`xm
(Avj Av`veyj
gydiv`)
-gvIjvbv
gnxDwÏb Lvb
(m¤úv`K-gvwmK
g`xbv)
মহানবী
হযরত
মোহাম্মদ
(দঃ)-এর
পবিত্র
বাণী
তোমাদের
কেউ
প্রস্রাব
করিলে
সে
যেন
তাহার
পুরুষাঙ্গ
তিনবার
টান
দেয় ।
এইভাবে
তিনবার
টান
দেওয়াই
তাহার
জন্য
যথেষ্ট
বলিয়া
গণ্য
হইবে । -আল
হাদীস (মুসনাদে
ইমাম
আহমদ
: ১৫৩ পৃষ্ঠা : ২১৬)
যখনই
সে সন্তান
প্রসব করিয়াছে
তখনই তাহার
ইদ্দত পূর্ণ
হইয়া গিয়াছে -আল
হাদীস (নাসাঈ শরীফ ঃ
৩৫১৪)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে
জিজ্ঞাসা করা
হইল আপনার
আহলে বাইত-এর
সদস্যগণের মধ্যে
আপনার সবচেয়ে
প্রিয় কে ?
তিনি বলিলেন ঃ
আল হোসাইন ।
তিনি ফাতিমা (রাঃ)-কে বলিতেন ঃ
আমার দুই
সন্তানকে আমার
নিকট ডাকিয়া
আন । তিনি
তাদের (শরীরের
গন্ধ) শুঁকিতেন
এবং নিজের
কলিজার সাথে
লাগাইতেন । -আল হাদীস
(তিরমিযী শরীফ ঃ
৩৭১১)
হাসান এবং হোসাইন উভয়ে জান্নাতী যুবকদের সরদার
।
-আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ
: ৩৭০৭)
ব্যভিচারী
ব্যক্তি জিনায়
লিপ্ত থাকা
অবস্থায় মোমিন
থাকে না ।
চোর চুরি
করার সময়
ঈমানদার থাকে
না । তবে তখনও
অনুশোচনার সুযোগ
থাকে । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ ২৬২৬)
আমি যাহাদেরকে চাকুরি দেই, তাহাদেরকে
বেতনও দিয়ে
থাকি । ইহার
বাহিরে তাহারা
যাহা কিছু
গ্রহন করিবে
তাহা স্রেফ
চুরি । -আল হাদীস (আবু দাউদ
শরীফ ঃ ২৯৩৩)
Rvbœv‡Z †hB evRvi Av‡Q, Zvnv‡Z bvix-cyiæ‡li
cÖwZK…wZ Qvov
Avi wKQzB
µq-weµq nB‡e
bv | hLb
†KD †Kvb
Qwei AvKvsLv
Kwi‡e, mv‡_
mv‡_B Zvnv
cvBqv hvB‡e | -Avj nv`xm (wZiwgRx
kixd t 2489)
জান্নাতে
যেই
বাজার
আছে,
তাহাতে
নারী-পুরুষের
প্রতিকৃতি
ছাড়া
আর
কিছুর
ক্রয়-বিক্রয়
হইবে
না ।
যখন
কেউ
কোন
ছবির
আকাংখা
করিবে,
সাথে
সাথেই
তাহা
পাইয়া
যাইবে । -আল
হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ২৪৮৯)
একদা তিনি হযরত আবু হোরায়রার (রাঃ)
সাথে দেখা
করিলে তিনি
বলিলেন, আমি
আল্লাহর প্রার্থনা করিতেছে তিনি যেন আমাকে ও তোমাকে বেহেশতের বাজারে মিলিত করেন ।....
-আল
হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ২৪৮৮)
আমার
উম্মতগণ
যেই
দরজা
দিয়া
বেহেশতে
প্রবেশ
করিবে, তাহার
প্রস'
হইবে
দ্র্বতগামী
অশ্বারোহীর
তিন
দিনের
পথ ।
তাহা
সত্ত্বেও
এতো
ভীড়
হইবে
যে,
তাহাদের
কাঁধ
ঢলিয়া
পড়িবার
উপক্রম
হইবে । -আল
হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ২৪৮৭)
আমরা
প্রায় চল্লিশজন
লোক একটি
তাবুতে রাসুলাল্লাহ
(সাঃ)-এর সাথে
ছিলাম । তখন নবী
করীম (সাঃ) আমাদেরকে বলিলেন, তোমরা কি এই ব্যাপারে
সন্তুষ্ট যে,
তোমরা বেহেশতবাসীদের সংখ্যার এক-চতুর্থাংশ
হইবে ? উপস্থিত
সাহাবীগণ বলিলেন,
হ্যাঁ । তিনি
আবার বলিলেন,
তোমরা এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যক হইলে কি সন্তুষ্ট
আছো ? তাঁহারা বলিলেন, হ্যাঁ । তিনি পুণরায় বলিলেন, তোমরা সংখ্যায় অর্ধেক হইলে খুশী আছো কি? মুসলিম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না । তোমরা তো মুশরিকদের
তুলনায় কালো
ষাঁড়ের চামড়ায়
সাদা (একটি)
পশম সদৃশ
অথবা লাল
ষাঁড়ের চামড়ায়
কালো (একটি)
পশম সদৃশ ।
- আল হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
২৪৮৬)
আমি একদিন মসজিদে গিয়া দেখিলাম লোকেরা (অপ্রয়োজনীয়)
আলাপ আলোচনায়
লিপ্ত আছে ।
পরে হযরত
আলী (রাঃ)-এর
নিকট গেলাম ।
বলিলাম, হে
আমিরুল মো‘মিনীন, দেখিতেছেন
না লোকেরা
নানা কথাবার্তায়
মশগুল ?
তিনি বলিলেন,
ইহারা কি
তাই করিতেছে ?
আমি বলিলাম,
হ্যাঁ । তিনি
বলিলেন, শোন,
আমি তো
রাসুলাল্লাহ (সাঃ)-কে
বলিতে শুনিয়াছি
যে, সাবধান,
অচিরেই ফিতনা-ফাসাদ
(দাঙ্গা-হাঙ্গামা) দেখা
দিবে । আমি
বলিলাম, তাহা
হইতে বাঁচার
উপায় কি,
ইয়া রাসুলাল্লাহ ? তিনি বলিলেন, আল্লাহর কিতাব । তাহাতে আছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের
সংবাদ এবং
পরবর্তীদের সংবাদ । আর তোমাদের জন্য ফায়সালার
বিধান । ইহা
হইল (সত্য
ও মিথ্যার)
পার্থক্যকারী । ইহা নিরর্থক নয় । যে ব্যক্তি অহংকার বশত তাহা ছাড়িয়া দিবে আল্লাহ তাহার ঘাড় ভাঙিয়া দিবেন । ইহাকে ছাড়িয়া যেই ব্যক্তি সুপথ চাহিবে আল্লাহ তাহাকে পথভ্রষ্ট করিয়া দিবেন । ইহা হইল আল্লাহ তায়ালার সুদৃঢ় রজ্জু । ইহা হইল পূর্ণ প্রজ্ঞাপূর্ণ
উপদেশ । ইহা
হইল সরল
সঠিক পথ ।
ইহার অনুকরণে
মানুষের চিন্তাধারা বক্র হয়, এতে মুখে জড়তা আসে না । জ্ঞানীগণ ইহা থেকে (জ্ঞান অর্জনে) কখনও পরিতৃপ্ত হন না । বার বার পাঠেও তা কখনও পুরনো হয় না । ইহার বিস্ময়ের
শেষ নাই ।
ইহা এমন
গ্রন্থ যা
শোনার পরে
জিনেরা এই
কথা না
বলিয়া থাকিতে
পারে নাই
যে, আমরা
তো এক
বিস্ময়কর কুরআন
শ্রবণ করিয়াছি
যাহা সঠিক
পথ প্রদর্শন
করে । সুতরাং
আমরা তাহাতে
বিশ্বাস স্থাপন
করিয়াছি (সুরা জিন ঃ
১-২)। যেই
ব্যক্তি ইহার
অনুসরণে কথা
বলে সে
সত্য বলে ।
যে ইহার
অনুযায়ী কাজ
করে সে
প্রতিফল লাভ
করে থাকে ।
যে ইহা
অনুযায়ী ফায়সালা
দেয় সে
ন্যায়বিচার করে
আর যেই
ব্যক্তি ইহার
দিকে ডাকে
সে সরল
পথের সন্ধান
পায় । হে
আওয়ার, তোমার
প্রতি এই
কথাগুলোকে মজবুতভাবে ধারণ কর । -আল হাদীস (তিরমিজী শরীফ
ঃ ২৯০৬)
হিশাম
ইবনে মুগীরা
গোত্রের লোকেরা
আলী ইবনে
আবু তালিবের
নিকট তাহাদের
মেয়ে বিবাহ
দেওয়ার ব্যাপারে
আমার কাছে
অনুমতি প্রার্থনা করিয়াছে ।
কিন্তু আমি
অনুমতি দিব
না, অনুমতি
দিব না,
অনুমতি দিব
না । তবে
আলী ইবনে
আবু তালিব
ইচ্ছা করিলে
আমার কন্যাকে
তালাক দিয়া
তাহাদের মেয়ে
বিবাহ করিতে
পারে । ফাতিমা
হইল আমার
শরীরের টুকরা ।
তাঁহার নিকট
যাহা খারাপ
লাগে, আমার
কাছেও তাহা
খারাপ লাগে ।
তাঁহার জন্য
যাহা কষ্টদায়ক,
আমার জন্যও
তাহা কষ্টদায়ক । - আল হাদীস(তিরমিজী
শরীফ ঃ ৩৮০৪)
একদা
আমি ঘুমন্ত
অবস্থায় (স্বপ্নে)
দেখিতে পাইলাম
যে, আমার
সামনে জামা
পরিহিত লোকদেরকে
উপস্থিত করা
হইতেছে । তাহাদের কাহারো জামা বুক পর্যন্ত
এবং কাহারো
জামা তারও
নিচে পর্যন্ত ।
তখন ওমর
আমার সামনে
আসিল এবং
তাহার পরনে
ছিল লম্বা
জামা, যাহা
সে হেঁচড়িয়ে
চলছিল । লোকেরা
জিজ্ঞাসা করিল,
ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনি ইহার কি ব্যাখ্যা
করেন ? তিনি
বলিলেন, ইহার
দ্বারা ধর্ম
(পরায়নতা) বুঝানো হইয়াছে । - আল
হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
২২৩০)
যেই
ব্যক্তি মনগড়া (মিথ্যা) স্বপ্ন বর্ণনা করিবে, কিয়ামতের
দিন তাহাকে
দুইটি যবের
দানায় গিঁট
লাগাইতে বাধ্য
করা হইবে ;
যদিও সে
তাহাতে গিঁট
লাগাইতে পারিবে
না । - আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
২২২৮)
হযরত
আবদুল্লাহ ইবনে
মাসউদ (সাঃ) যখন
জামরা আকাবায়
আসিলেন, তখন
উপত্যকার মধ্যস্থলে দাঁড়াইলেন,
কিবলামুখী হইলেন
এবং ডান
ভ্রু বরাবর
উঁচু করিয়া
কংকর নিক্ষেপ
আরম্ভ করিলেন ।
তিনি সাতটি
কংকর নিক্ষেপ
করিলেন এবং
প্রতিটি কংকর
মারার সময়
আল্লাহু আকবার
বলিলেন । তারপর
তিনি বলিলেন,
আল্লাহর শপথ !
যিনি ব্যতীত
আর কোন
উপাস্য নাই,
যেই সত্তার
উপর সুরা
বাকারা অবতীর্ণ
হইয়াছে তিনি
এখান থেকেই
কংকর নিক্ষেপ
করিয়াছেন । - আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
৮৪৪)
আমি
নবী করীম (সাঃ)-কে ছোট কঙ্কর দিয়া রমী করিতে দেখিয়াছি ।
হুজুরে পাক (সাঃ)
সূর্য ঢলে
পড়ার পর
পাথর নিক্ষেপ
করিতেন । আল্লাহর রাসুল (সাঃ)
কোরবানীর দিন
আরোহী অবস্থায়
জামরায় কংকর
নিক্ষেপ করিয়াছেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
জামরায় কংকর
নিক্ষেপের জন্য
হাঁটিয়া যাইতেন
এবং হাঁটিয়া
ফিরিয়া আসিতেন । -আল হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ৮৪০-৮৪৩)
আমরা
মুযদালিফায় অবস্থানরত ছিলাম । তখন ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ)
বলিলেন, মুশরিকরা সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে রওয়ানা হইত না । তাহারা বলিত, হে সাবির ! আলোকিত হও । কিন্তু রাসুলে করীম (সাঃ)
তাহাদের বিপরীত
নীতি অনুসরণ
করিয়াছেন । হযরত
ওমর (রাঃ)ও সূর্য ওঠার আগেই রওয়ানা হন । -আল
হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
৮৩৯)
আল্লাহর
নিকট শহীদের
জন্যে ছয়টি
পুরস্কার । (১) -আল হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ১৬০৮)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে
জিজ্ঞাসা করা
হইল, কোন
ব্যক্তি সর্বোত্তম ? তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করে । তাহারা আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, তারপর কে ? তিনি বলিলেন, যেই ঈমানদার ব্যক্তি পাহাড়ের কোন উপত্যকায়
আশ্রয় নেয়,
নিজের প্রভুকে
ভয় করিয়া
চলে এবং
নিজের অনিষ্ট
থেকে মানুষকে
নিরাপদে রাখে । -আল হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ১৬০৭)
তিনি (হযরত
ওমর রাঃ) উসামা (রাঃ)-র বেতন নির্ধারন
করিলেন তিন
হাজার পাঁচশত
দিরহাম এবং (নিজের পুত্র) আবদুল্লাহ
ইবনে ওমর (রাঃ)-র
বেতন নির্ধারন
করিলেন তিন
হাজার । ফলে
আবদুল্লাহ ইবনে
ওমর (রাঃ) তাহার
পিতাকে বলিলেন,
আপনি ওসামাকে
কেন আমার উপরে
মর্যাদা দিলেন ?
আল্লাহর কসম !
সে কোন
যুদ্ধে আমাকে
অতিক্রম করিতে
পারে নাই ।
হযরত ওমর (রাঃ)
বলিলেন, তোমার
পিতার চাইতে (ওসামার পিতা) যায়েদ (রাঃ)
ছিল রাসুলুল্লাহ
(সাঃ)-এর অধিক
প্রিয়পাত্র । তোমার
চেয়ে উসামা
ছিল রাসুলূল্লাহ
(সাঃ)-এর অধিক
প্রিয়পাত্র । তাই আমি আমার প্রিয়পাত্রের
উপরে রাসুলুল্লাহ
(সাঃ)-এর প্রিয়পাত্রকে
অগ্রাধিকার দিয়াছি ।
-আল হাদিস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ৩৭৫১)
লোকেরা
বলিল, হে
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ! আপনি যদি কাউকে খলীফা নিযুক্ত করিয়া যাইতেন । তিনি
বলিলেন, আমি
কাউকে তোমাদের
খলীফা নিয়োগ
করিয়া গেলে
এবং তোমরা
তাহার অবাধ্যতায়
লিপ্ত হইলে
তোমাদেরকে শাস্তি দেওয়া হইবে । সুতরাং হোযায়ফা তোমাদের নিকট যাহা বর্ণনা করে তাহাকে সত্য বলিয়া গ্রহন কর এবং ইবনে মাসউদ তোমাদেরকে
যাহা কিছু
পড়ায় তাহা
পড়িয়া নাও ।-আল
হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
৩৭৫০)
আব্বাস
ইবনে আবদুল
মোত্তালিব (রাঃ)
রাগান্বিত অবস্থায় রাসুলে করীম (সাঃ)-এর
নিকট প্রবেশ
করেন । তখন আমি
তাঁহার নিকট
উপস্থিত ছিলাম । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, কিসে আপনাকে ক্ষুদ্ধ করিয়াছে ?
তিনি বলিলেন,
হে আল্লাহর
রাসুল ! আমাদের
সাথে কুরাইশদের
কি হইল ?
তাহারা নিজেরা
যখন পরস্পর
মিলিত হয়,
তখন উজ্জ্বল
চেহারায় মিলিত
হয় । কিন্তু
তাহারা আমাদের
(হাশিম বংশীয়দের)
সাথে ইহার
বিপরীত অবস্থায়
মিলিত হয় ।
(ইহা শুনে)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এতই অসন্তুষ্ট
হন যে,
তাঁহার মুখমন্ডল
রক্তিম বর্ণ
ধারণ করে ।
তারপর তিনি
বলিলেন ঃ সেই
মহান সত্তার
কসম যাঁহার
হাতে আমার
প্রাণ ! কোন
ব্যক্তির অন্তরে
ঈমান প্রবেশ
করিতে পারে
না, যে
পযর্ন্ত না
সে আল্লাহ
ও তাঁহার
রাসুলের (সন্তুষ্টির)
জন্য আপনাদেরকে
ভালবাসে । অতঃপর
তিনি বলিলেন ঃ
হে লোক
সকল ! যে
কেউ আমার
চাচাকে কষ্ট
দিল সে
যেন আমাকেই
কষ্ট দিল ।
কেননা কোন
ব্যক্তির চাচা
তাহার পিতৃস্থানীয় । -আল
হাদীস(তিরমিজী
শরীফ ঃ ৩৬৯৮)
একদা
আমাদের নিয়ে
একটু বেশী
বেলা থাকিতেই
আসরের নামাজ
পড়েন, তারপর
ভাষণ দিতে
দাঁড়ান । উক্ত
ভাষণে কিয়ামত
পর্যন্ত যেই
সব ঘটনা
ঘটিবে সেই
সম্পর্কেই তিনি
আমাদেরকে অবহিত
করেন । কেউ
সেগুলো মনে
রেখেছে এবং কেউ আবার ভুলিয়া গেছে । তাঁর
ভাষণে তিনি
যা বলিয়া
ছিলেন তাহার
মধ্যে ছিল ঃ
দুনিয়াটা সবুজ-শ্যামল ও সুমিষ্ট (আকর্ষনীয়) আর
আল্লাহ তোমাদেরকে
ইহার উত্তরাধিকারী করিয়াছেন । .... -আল
হাদীস(তিরমিজী শরীফ ঃ
২১৩৭)
আমার
পরে শীঘ্রই
তোমরা স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব
ও তোমাদের
অপছন্দনীয় বহু
বিষয় দেখিতে
পাইবে । সাহাবীগণ
বলিলেন, ইয়া
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) !আমাদেরকে
তখন কি
করিতে আদেশ
করেন ? তিনি
বলিলেন ঃ তোমাদের উপর তাহাদের যে অধিকার রহিয়াছে, তাহা তোমরা পূর্ণ করিবে এবং তোমাদের অধিকার আল্লাহর নিকট প্রার্থনা
করিবে । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
২১৩৬)
একদা
জনৈক আনসারী
বলিলেন, ইয়া
রাসুলুল্লাহ ! আপনি
অমুককে কর্মকর্তা
নিয়োগ করিয়াছেন
অথচ আমাকে
করেন নাই । রাসুলে পাক (সাঃ)
বলিলেন ঃ অচিরেই তোমরা আমার পরে স্বজনপ্রীতি দেখিতে পাইবে । তখন
তোমরা ধৈর্য
ধারণ করিবে
যতক্ষণ না
হাওযে কাওসারে
আমার সাথে
তোমাদের সাক্ষাত
হয় । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
২১৩৫)
ফাতিমা
বিনতে আবি
হুবাইশ নামক
জনৈকা মহিলা
নবী করীম (সাঃ)-এর দরবারে আসিয়া বলিলেন ঃ হে
আল্লাহর রাসুল !
আমি তো
ইস্তিহাযায় (অতিরিক্ত
জরায়ু রক্তক্ষরণে) আক্রান্ত ।
আমি তো
পবিত্র হই
না । এমতাবস্থায়
আমি নামাজ
ছাড়িয়া দিব
কি? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলিলেন ঃ
না, কারণ
এই রক্ত
হায়েজের(মাসিক/ঋতুস্রাবের)
নয় বরং
শিরা থেকে
বেরিয়ে আসা
রক্ত । সুতরাং যখন তোমার হায়েজের নির্ধারিত
দিনগুলি আসে,
তখন সেই
কয়দিন নামাজ
ছাড়িয়া দিবে
আর হায়েজের
দিনগুলো চলিয়া
গেলে তোমার
রক্ত ধুইয়া
নিবে এবং
নামাজ আদায়
করিবে । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
১২৫)
দশ
বছর ধরিয়াও
যদি পানি
না পাওয়া
যায়, তাহলেও
একজন মুসলিমের
জন্য পবিত্র
মাটি পবিত্রতা
অর্জনের উপকরণরূপে বিবেচিত হইবে । পরে
যখন সে
পানি পাইবে,
তখন তাহা
দিয়া নিজের
শরীর ধুইয়া
নিবে । ইহাই
তাহার জন্য
উত্তম । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
১২৪)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) (মদীনায় হিজরতের পরে) তাহার (আনসার ও মোহাজির)
সাহাবীদের মধ্যে
ভ্রাতৃত্ব বন্ধন
সৃষ্টি করিয়া
দেন । তখন
আলী (রাঃ) অশ্রুসিক্ত নয়নে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি আপনার সাহাবীদেরকে
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছেন,
অথচ আমাকে
কারো সাথে
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে %8
মাহমুদ ইলিয়াস
‡jLv
I wWRvBb - Wvt
ekxi gvngy`
Bwjqvm
-Avj
nv`xm (gymbv‡` Bgvg
Avng`)
-Avj
nv`xm (wZiwgRx
kixd)
-Avj
nv`xm (‡evLvix
kixd)
- Avj nv`xm
(Avj Av`veyj
gydiv`)
-gvIjvbv
gnxDwÏb Lvb
(m¤úv`K-gvwmK
g`xbv)
মহানবী
হযরত
মোহাম্মদ
(দঃ)-এর
পবিত্র
বাণী
তোমাদের
কেউ
প্রস্রাব
করিলে
সে
যেন
তাহার
পুরুষাঙ্গ
তিনবার
টান
দেয় ।
এইভাবে
তিনবার
টান
দেওয়াই
তাহার
জন্য
যথেষ্ট
বলিয়া
গণ্য
হইবে । -আল
হাদীস (মুসনাদে
ইমাম
আহমদ
: ১৫৩ পৃষ্ঠা : ২১৬)
যখনই
সে সন্তান
প্রসব করিয়াছে
তখনই তাহার
ইদ্দত পূর্ণ
হইয়া গিয়াছে -আল
হাদীস (নাসাঈ শরীফ ঃ
৩৫১৪)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে
জিজ্ঞাসা করা
হইল আপনার
আহলে বাইত-এর
সদস্যগণের মধ্যে
আপনার সবচেয়ে
প্রিয় কে ?
তিনি বলিলেন ঃ
আল হোসাইন ।
তিনি ফাতিমা (রাঃ)-কে বলিতেন ঃ
আমার দুই
সন্তানকে আমার
নিকট ডাকিয়া
আন । তিনি
তাদের (শরীরের
গন্ধ) শুঁকিতেন
এবং নিজের
কলিজার সাথে
লাগাইতেন । -আল হাদীস
(তিরমিযী শরীফ ঃ
৩৭১১)
হাসান এবং হোসাইন উভয়ে জান্নাতী যুবকদের সরদার
।
-আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ
: ৩৭০৭)
ব্যভিচারী
ব্যক্তি জিনায়
লিপ্ত থাকা
অবস্থায় মোমিন
থাকে না ।
চোর চুরি
করার সময়
ঈমানদার থাকে
না । তবে তখনও
অনুশোচনার সুযোগ
থাকে । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ ২৬২৬)
আমি যাহাদেরকে চাকুরি দেই, তাহাদেরকে
বেতনও দিয়ে
থাকি । ইহার
বাহিরে তাহারা
যাহা কিছু
গ্রহন করিবে
তাহা স্রেফ
চুরি । -আল হাদীস (আবু দাউদ
শরীফ ঃ ২৯৩৩)
Rvbœv‡Z †hB evRvi Av‡Q, Zvnv‡Z bvix-cyiæ‡li
cÖwZK…wZ Qvov
Avi wKQzB
µq-weµq nB‡e
bv | hLb
†KD †Kvb
Qwei AvKvsLv
Kwi‡e, mv‡_
mv‡_B Zvnv
cvBqv hvB‡e | -Avj nv`xm (wZiwgRx
kixd t 2489)
জান্নাতে
যেই
বাজার
আছে,
তাহাতে
নারী-পুরুষের
প্রতিকৃতি
ছাড়া
আর
কিছুর
ক্রয়-বিক্রয়
হইবে
না ।
যখন
কেউ
কোন
ছবির
আকাংখা
করিবে,
সাথে
সাথেই
তাহা
পাইয়া
যাইবে । -আল
হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ২৪৮৯)
একদা তিনি হযরত আবু হোরায়রার (রাঃ)
সাথে দেখা
করিলে তিনি
বলিলেন, আমি
আল্লাহর প্রার্থনা করিতেছে তিনি যেন আমাকে ও তোমাকে বেহেশতের বাজারে মিলিত করেন ।....
-আল
হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ২৪৮৮)
আমার
উম্মতগণ
যেই
দরজা
দিয়া
বেহেশতে
প্রবেশ
করিবে, তাহার
প্রস'
হইবে
দ্র্বতগামী
অশ্বারোহীর
তিন
দিনের
পথ ।
তাহা
সত্ত্বেও
এতো
ভীড়
হইবে
যে,
তাহাদের
কাঁধ
ঢলিয়া
পড়িবার
উপক্রম
হইবে । -আল
হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ২৪৮৭)
আমরা
প্রায় চল্লিশজন
লোক একটি
তাবুতে রাসুলাল্লাহ
(সাঃ)-এর সাথে
ছিলাম । তখন নবী
করীম (সাঃ) আমাদেরকে বলিলেন, তোমরা কি এই ব্যাপারে
সন্তুষ্ট যে,
তোমরা বেহেশতবাসীদের সংখ্যার এক-চতুর্থাংশ
হইবে ? উপস্থিত
সাহাবীগণ বলিলেন,
হ্যাঁ । তিনি
আবার বলিলেন,
তোমরা এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যক হইলে কি সন্তুষ্ট
আছো ? তাঁহারা বলিলেন, হ্যাঁ । তিনি পুণরায় বলিলেন, তোমরা সংখ্যায় অর্ধেক হইলে খুশী আছো কি? মুসলিম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না । তোমরা তো মুশরিকদের
তুলনায় কালো
ষাঁড়ের চামড়ায়
সাদা (একটি)
পশম সদৃশ
অথবা লাল
ষাঁড়ের চামড়ায়
কালো (একটি)
পশম সদৃশ ।
- আল হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
২৪৮৬)
আমি একদিন মসজিদে গিয়া দেখিলাম লোকেরা (অপ্রয়োজনীয়)
আলাপ আলোচনায়
লিপ্ত আছে ।
পরে হযরত
আলী (রাঃ)-এর
নিকট গেলাম ।
বলিলাম, হে
আমিরুল মো‘মিনীন, দেখিতেছেন
না লোকেরা
নানা কথাবার্তায়
মশগুল ?
তিনি বলিলেন,
ইহারা কি
তাই করিতেছে ?
আমি বলিলাম,
হ্যাঁ । তিনি
বলিলেন, শোন,
আমি তো
রাসুলাল্লাহ (সাঃ)-কে
বলিতে শুনিয়াছি
যে, সাবধান,
অচিরেই ফিতনা-ফাসাদ
(দাঙ্গা-হাঙ্গামা) দেখা
দিবে । আমি
বলিলাম, তাহা
হইতে বাঁচার
উপায় কি,
ইয়া রাসুলাল্লাহ ? তিনি বলিলেন, আল্লাহর কিতাব । তাহাতে আছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের
সংবাদ এবং
পরবর্তীদের সংবাদ । আর তোমাদের জন্য ফায়সালার
বিধান । ইহা
হইল (সত্য
ও মিথ্যার)
পার্থক্যকারী । ইহা নিরর্থক নয় । যে ব্যক্তি অহংকার বশত তাহা ছাড়িয়া দিবে আল্লাহ তাহার ঘাড় ভাঙিয়া দিবেন । ইহাকে ছাড়িয়া যেই ব্যক্তি সুপথ চাহিবে আল্লাহ তাহাকে পথভ্রষ্ট করিয়া দিবেন । ইহা হইল আল্লাহ তায়ালার সুদৃঢ় রজ্জু । ইহা হইল পূর্ণ প্রজ্ঞাপূর্ণ
উপদেশ । ইহা
হইল সরল
সঠিক পথ ।
ইহার অনুকরণে
মানুষের চিন্তাধারা বক্র হয়, এতে মুখে জড়তা আসে না । জ্ঞানীগণ ইহা থেকে (জ্ঞান অর্জনে) কখনও পরিতৃপ্ত হন না । বার বার পাঠেও তা কখনও পুরনো হয় না । ইহার বিস্ময়ের
শেষ নাই ।
ইহা এমন
গ্রন্থ যা
শোনার পরে
জিনেরা এই
কথা না
বলিয়া থাকিতে
পারে নাই
যে, আমরা
তো এক
বিস্ময়কর কুরআন
শ্রবণ করিয়াছি
যাহা সঠিক
পথ প্রদর্শন
করে । সুতরাং
আমরা তাহাতে
বিশ্বাস স্থাপন
করিয়াছি (সুরা জিন ঃ
১-২)। যেই
ব্যক্তি ইহার
অনুসরণে কথা
বলে সে
সত্য বলে ।
যে ইহার
অনুযায়ী কাজ
করে সে
প্রতিফল লাভ
করে থাকে ।
যে ইহা
অনুযায়ী ফায়সালা
দেয় সে
ন্যায়বিচার করে
আর যেই
ব্যক্তি ইহার
দিকে ডাকে
সে সরল
পথের সন্ধান
পায় । হে
আওয়ার, তোমার
প্রতি এই
কথাগুলোকে মজবুতভাবে ধারণ কর । -আল হাদীস (তিরমিজী শরীফ
ঃ ২৯০৬)
হিশাম
ইবনে মুগীরা
গোত্রের লোকেরা
আলী ইবনে
আবু তালিবের
নিকট তাহাদের
মেয়ে বিবাহ
দেওয়ার ব্যাপারে
আমার কাছে
অনুমতি প্রার্থনা করিয়াছে ।
কিন্তু আমি
অনুমতি দিব
না, অনুমতি
দিব না,
অনুমতি দিব
না । তবে
আলী ইবনে
আবু তালিব
ইচ্ছা করিলে
আমার কন্যাকে
তালাক দিয়া
তাহাদের মেয়ে
বিবাহ করিতে
পারে । ফাতিমা
হইল আমার
শরীরের টুকরা ।
তাঁহার নিকট
যাহা খারাপ
লাগে, আমার
কাছেও তাহা
খারাপ লাগে ।
তাঁহার জন্য
যাহা কষ্টদায়ক,
আমার জন্যও
তাহা কষ্টদায়ক । - আল হাদীস(তিরমিজী
শরীফ ঃ ৩৮০৪)
একদা
আমি ঘুমন্ত
অবস্থায় (স্বপ্নে)
দেখিতে পাইলাম
যে, আমার
সামনে জামা
পরিহিত লোকদেরকে
উপস্থিত করা
হইতেছে । তাহাদের কাহারো জামা বুক পর্যন্ত
এবং কাহারো
জামা তারও
নিচে পর্যন্ত ।
তখন ওমর
আমার সামনে
আসিল এবং
তাহার পরনে
ছিল লম্বা
জামা, যাহা
সে হেঁচড়িয়ে
চলছিল । লোকেরা
জিজ্ঞাসা করিল,
ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনি ইহার কি ব্যাখ্যা
করেন ? তিনি
বলিলেন, ইহার
দ্বারা ধর্ম
(পরায়নতা) বুঝানো হইয়াছে । - আল
হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
২২৩০)
যেই
ব্যক্তি মনগড়া (মিথ্যা) স্বপ্ন বর্ণনা করিবে, কিয়ামতের
দিন তাহাকে
দুইটি যবের
দানায় গিঁট
লাগাইতে বাধ্য
করা হইবে ;
যদিও সে
তাহাতে গিঁট
লাগাইতে পারিবে
না । - আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
২২২৮)
হযরত
আবদুল্লাহ ইবনে
মাসউদ (সাঃ) যখন
জামরা আকাবায়
আসিলেন, তখন
উপত্যকার মধ্যস্থলে দাঁড়াইলেন,
কিবলামুখী হইলেন
এবং ডান
ভ্রু বরাবর
উঁচু করিয়া
কংকর নিক্ষেপ
আরম্ভ করিলেন ।
তিনি সাতটি
কংকর নিক্ষেপ
করিলেন এবং
প্রতিটি কংকর
মারার সময়
আল্লাহু আকবার
বলিলেন । তারপর
তিনি বলিলেন,
আল্লাহর শপথ !
যিনি ব্যতীত
আর কোন
উপাস্য নাই,
যেই সত্তার
উপর সুরা
বাকারা অবতীর্ণ
হইয়াছে তিনি
এখান থেকেই
কংকর নিক্ষেপ
করিয়াছেন । - আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
৮৪৪)
আমি
নবী করীম (সাঃ)-কে ছোট কঙ্কর দিয়া রমী করিতে দেখিয়াছি ।
হুজুরে পাক (সাঃ)
সূর্য ঢলে
পড়ার পর
পাথর নিক্ষেপ
করিতেন । আল্লাহর রাসুল (সাঃ)
কোরবানীর দিন
আরোহী অবস্থায়
জামরায় কংকর
নিক্ষেপ করিয়াছেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
জামরায় কংকর
নিক্ষেপের জন্য
হাঁটিয়া যাইতেন
এবং হাঁটিয়া
ফিরিয়া আসিতেন । -আল হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ৮৪০-৮৪৩)
আমরা
মুযদালিফায় অবস্থানরত ছিলাম । তখন ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ)
বলিলেন, মুশরিকরা সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে রওয়ানা হইত না । তাহারা বলিত, হে সাবির ! আলোকিত হও । কিন্তু রাসুলে করীম (সাঃ)
তাহাদের বিপরীত
নীতি অনুসরণ
করিয়াছেন । হযরত
ওমর (রাঃ)ও সূর্য ওঠার আগেই রওয়ানা হন । -আল
হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
৮৩৯)
আল্লাহর
নিকট শহীদের
জন্যে ছয়টি
পুরস্কার । (১) -আল হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ১৬০৮)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে
জিজ্ঞাসা করা
হইল, কোন
ব্যক্তি সর্বোত্তম ? তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করে । তাহারা আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, তারপর কে ? তিনি বলিলেন, যেই ঈমানদার ব্যক্তি পাহাড়ের কোন উপত্যকায়
আশ্রয় নেয়,
নিজের প্রভুকে
ভয় করিয়া
চলে এবং
নিজের অনিষ্ট
থেকে মানুষকে
নিরাপদে রাখে । -আল হাদীস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ১৬০৭)
তিনি (হযরত
ওমর রাঃ) উসামা (রাঃ)-র বেতন নির্ধারন
করিলেন তিন
হাজার পাঁচশত
দিরহাম এবং (নিজের পুত্র) আবদুল্লাহ
ইবনে ওমর (রাঃ)-র
বেতন নির্ধারন
করিলেন তিন
হাজার । ফলে
আবদুল্লাহ ইবনে
ওমর (রাঃ) তাহার
পিতাকে বলিলেন,
আপনি ওসামাকে
কেন আমার উপরে
মর্যাদা দিলেন ?
আল্লাহর কসম !
সে কোন
যুদ্ধে আমাকে
অতিক্রম করিতে
পারে নাই ।
হযরত ওমর (রাঃ)
বলিলেন, তোমার
পিতার চাইতে (ওসামার পিতা) যায়েদ (রাঃ)
ছিল রাসুলুল্লাহ
(সাঃ)-এর অধিক
প্রিয়পাত্র । তোমার
চেয়ে উসামা
ছিল রাসুলূল্লাহ
(সাঃ)-এর অধিক
প্রিয়পাত্র । তাই আমি আমার প্রিয়পাত্রের
উপরে রাসুলুল্লাহ
(সাঃ)-এর প্রিয়পাত্রকে
অগ্রাধিকার দিয়াছি ।
-আল হাদিস (তিরমিজী
শরীফ ঃ ৩৭৫১)
লোকেরা
বলিল, হে
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ! আপনি যদি কাউকে খলীফা নিযুক্ত করিয়া যাইতেন । তিনি
বলিলেন, আমি
কাউকে তোমাদের
খলীফা নিয়োগ
করিয়া গেলে
এবং তোমরা
তাহার অবাধ্যতায়
লিপ্ত হইলে
তোমাদেরকে শাস্তি দেওয়া হইবে । সুতরাং হোযায়ফা তোমাদের নিকট যাহা বর্ণনা করে তাহাকে সত্য বলিয়া গ্রহন কর এবং ইবনে মাসউদ তোমাদেরকে
যাহা কিছু
পড়ায় তাহা
পড়িয়া নাও ।-আল
হাদীস (তিরমিজী শরীফ ঃ
৩৭৫০)
আব্বাস
ইবনে আবদুল
মোত্তালিব (রাঃ)
রাগান্বিত অবস্থায় রাসুলে করীম (সাঃ)-এর
নিকট প্রবেশ
করেন । তখন আমি
তাঁহার নিকট
উপস্থিত ছিলাম । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, কিসে আপনাকে ক্ষুদ্ধ করিয়াছে ?
তিনি বলিলেন,
হে আল্লাহর
রাসুল ! আমাদের
সাথে কুরাইশদের
কি হইল ?
তাহারা নিজেরা
যখন পরস্পর
মিলিত হয়,
তখন উজ্জ্বল
চেহারায় মিলিত
হয় । কিন্তু
তাহারা আমাদের
(হাশিম বংশীয়দের)
সাথে ইহার
বিপরীত অবস্থায়
মিলিত হয় ।
(ইহা শুনে)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এতই অসন্তুষ্ট
হন যে,
তাঁহার মুখমন্ডল
রক্তিম বর্ণ
ধারণ করে ।
তারপর তিনি
বলিলেন ঃ সেই
মহান সত্তার
কসম যাঁহার
হাতে আমার
প্রাণ ! কোন
ব্যক্তির অন্তরে
ঈমান প্রবেশ
করিতে পারে
না, যে
পযর্ন্ত না
সে আল্লাহ
ও তাঁহার
রাসুলের (সন্তুষ্টির)
জন্য আপনাদেরকে
ভালবাসে । অতঃপর
তিনি বলিলেন ঃ
হে লোক
সকল ! যে
কেউ আমার
চাচাকে কষ্ট
দিল সে
যেন আমাকেই
কষ্ট দিল ।
কেননা কোন
ব্যক্তির চাচা
তাহার পিতৃস্থানীয় । -আল
হাদীস(তিরমিজী
শরীফ ঃ ৩৬৯৮)
একদা
আমাদের নিয়ে
একটু বেশী
বেলা থাকিতেই
আসরের নামাজ
পড়েন, তারপর
ভাষণ দিতে
দাঁড়ান । উক্ত
ভাষণে কিয়ামত
পর্যন্ত যেই
সব ঘটনা
ঘটিবে সেই
সম্পর্কেই তিনি
আমাদেরকে অবহিত
করেন । কেউ
সেগুলো মনে
রেখেছে এবং কেউ আবার ভুলিয়া গেছে । তাঁর
ভাষণে তিনি
যা বলিয়া
ছিলেন তাহার
মধ্যে ছিল ঃ
দুনিয়াটা সবুজ-শ্যামল ও সুমিষ্ট (আকর্ষনীয়) আর
আল্লাহ তোমাদেরকে
ইহার উত্তরাধিকারী করিয়াছেন । .... -আল
হাদীস(তিরমিজী শরীফ ঃ
২১৩৭)
আমার
পরে শীঘ্রই
তোমরা স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব
ও তোমাদের
অপছন্দনীয় বহু
বিষয় দেখিতে
পাইবে । সাহাবীগণ
বলিলেন, ইয়া
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) !আমাদেরকে
তখন কি
করিতে আদেশ
করেন ? তিনি
বলিলেন ঃ তোমাদের উপর তাহাদের যে অধিকার রহিয়াছে, তাহা তোমরা পূর্ণ করিবে এবং তোমাদের অধিকার আল্লাহর নিকট প্রার্থনা
করিবে । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
২১৩৬)
একদা
জনৈক আনসারী
বলিলেন, ইয়া
রাসুলুল্লাহ ! আপনি
অমুককে কর্মকর্তা
নিয়োগ করিয়াছেন
অথচ আমাকে
করেন নাই । রাসুলে পাক (সাঃ)
বলিলেন ঃ অচিরেই তোমরা আমার পরে স্বজনপ্রীতি দেখিতে পাইবে । তখন
তোমরা ধৈর্য
ধারণ করিবে
যতক্ষণ না
হাওযে কাওসারে
আমার সাথে
তোমাদের সাক্ষাত
হয় । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
২১৩৫)
ফাতিমা
বিনতে আবি
হুবাইশ নামক
জনৈকা মহিলা
নবী করীম (সাঃ)-এর দরবারে আসিয়া বলিলেন ঃ হে
আল্লাহর রাসুল !
আমি তো
ইস্তিহাযায় (অতিরিক্ত
জরায়ু রক্তক্ষরণে) আক্রান্ত ।
আমি তো
পবিত্র হই
না । এমতাবস্থায়
আমি নামাজ
ছাড়িয়া দিব
কি? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলিলেন ঃ
না, কারণ
এই রক্ত
হায়েজের(মাসিক/ঋতুস্রাবের)
নয় বরং
শিরা থেকে
বেরিয়ে আসা
রক্ত । সুতরাং যখন তোমার হায়েজের নির্ধারিত
দিনগুলি আসে,
তখন সেই
কয়দিন নামাজ
ছাড়িয়া দিবে
আর হায়েজের
দিনগুলো চলিয়া
গেলে তোমার
রক্ত ধুইয়া
নিবে এবং
নামাজ আদায়
করিবে । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
১২৫)
দশ
বছর ধরিয়াও
যদি পানি
না পাওয়া
যায়, তাহলেও
একজন মুসলিমের
জন্য পবিত্র
মাটি পবিত্রতা
অর্জনের উপকরণরূপে বিবেচিত হইবে । পরে
যখন সে
পানি পাইবে,
তখন তাহা
দিয়া নিজের
শরীর ধুইয়া
নিবে । ইহাই
তাহার জন্য
উত্তম । -আল হাদীস
(তিরমিজী শরীফ ঃ
১২৪)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) (মদীনায় হিজরতের পরে) তাহার (আনসার ও মোহাজির)
সাহাবীদের মধ্যে
ভ্রাতৃত্ব বন্ধন
সৃষ্টি করিয়া
দেন । তখন
আলী (রাঃ) অশ্রুসিক্ত নয়নে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি আপনার সাহাবীদেরকে
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছেন,
অথচ আমাকে
কারো সাথে
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে %8